অঙ্কেও টোকাটুকি, মানছে না পুলিশ

মালদহে মাধ্যমিক পরীক্ষার শুরু দিন থেকেই জেলার বিভিন্ন স্কুলে চলছে নকল বলে অভিযোগ। সোমবার অঙ্কের পরীক্ষাতেও স্কুলগুলোতে দেখা গেল কার্যত একই ছবি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:০৪
Share:

পুলিশের তাড়া। মালদহের একটি স্কুলে। নিজস্ব চিত্র

মালদহে মাধ্যমিক পরীক্ষার শুরু দিন থেকেই জেলার বিভিন্ন স্কুলে চলছে নকল বলে অভিযোগ। সোমবার অঙ্কের পরীক্ষাতেও স্কুলগুলোতে দেখা গেল কার্যত একই ছবি।

Advertisement

এমনকী, পরীক্ষাকেন্দ্রের মধ্যেও গণ টোকাটুকি চলে বলে অভিযোগ। জেলাতে নকল অব্যাহত থাকায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে শিক্ষা মহলে। অভিযোগ, পুলিশকর্মী মোতায়ন থাকলেও বাইরে থেকে নকল সরবরাহ চলছেই। পুলিশ ও শিক্ষকদের একাংশের ঢিলেঢালা মনোভাবের জন্য নকলের রমরমা মালদহে। যদিও নকলের অভিযোগ মানতে নারাজ জেলা পুলিশ ও শিক্ষা দফতরের কর্তারা। জেলার মাধ্যমিক পরীক্ষার আহ্বায়ক সঞ্জয় বল বলেন, ‘‘নকলের অভিযোগ পাইনি। আর বাইরে কী হয়েছে, তা আমরা বলতে পারব না।’’ মালদহের পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ জানান, নির্বিঘ্নেই এ দিন পরীক্ষা শেষ হয়েছে। সমস্ত স্কুলেই নজরদারি চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নকল সরবরাহ রুখতে প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে মোতায়ন করা হয়েছিল এক জন অফিসার সহ পাঁচ জন পুলিশ কর্মী এবং চার জন করে সিভিক ভলান্টিয়ার। এ ছাড়া পরীক্ষাকেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে জারি করা হয়েছিল ১৪৪ ধারা। সেই নিয়ম এবং পুলিশের নজরদারিকে এড়িয়েই ইংরেজবাজারের শান্তাদেবীয়া হাই স্কুল, রায়গ্রাম হাই স্কুল, ভর্তিটারি হাই স্কুল, সাট্টারি হাই স্কুল এবং কাজিগ্রাম হাই স্কুল সহ মানিকচকের কালিন্দ্রী হাইস্কুল, নুরপুর হাইস্কুল, ধরমপুর হাইস্কুলে চলে বাইরে থেকে নকল সরবরাহ। সিভিক ভলান্টিয়ারদের সামনেই একদল বহিরাগত নকল সরবরাহ করতে দেখা যায় এ দিন।

Advertisement

এ ছাড়া বিভিন্ন স্কুলে দোতলাতে প্রাচীর টপকে উঠতে দেখা যায় বহিরাগতদের। কখনও দল বেঁধে, কখনও আবার এক জন করে জানলা, দরজা দিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে সরবরাহ করা হচ্ছে নকল। একই সঙ্গে ছোট পাথরের টুকরো সঙ্গে কাগজ মুড়িয়ে জানলা দিয়ে ছুড়ে দেওয়া হচ্ছে। পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতরেও চলে টোকাটুকি বলে অভিযোগ। নকল নিয়ে বাইরে হইচই চলায় একাংশ পরীক্ষার্থীকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন অভিভাবকদের একাংশ। তাঁরা বলেন, বাইরের চিৎকারে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। পরীক্ষার্থীরা শান্তি ভাবে পরীক্ষা দিতে পারছে না। আর বাইরে থেকে বহিরাগতেরা ভিতরে নকল দিলেও শিক্ষকেরা কিছু বলছেন না। এই বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি শিক্ষকদেরও নজর দেওয়া দরকার বলে দাবি করেন তাঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন