শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তরফে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগকে ঘিরে হইচই পড়ে গিয়েছে।
Madrasa

কন্যাশ্রী ‘পাইয়ে দিতে’ টাকা

আবাস যোজনা থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ নতুন নয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২০ ০৫:৪৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

কন্যাশ্রীর আবেদনপত্র পরীক্ষার নামে ছাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার একটি ভিডিয়ো ‘ভাইরাল’ হয়েছে (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার)। ঘটনাটি মালদহের চাঁচলের জালালপুর হাই মাদ্রাসার। অভিযোগ, মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা নিচ্ছেন।

Advertisement

আবাস যোজনা থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ নতুন নয়। কিন্তু কন্যাশ্রী প্রকল্পে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তরফে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগকে ঘিরে হইচই পড়ে গিয়েছে। টাকা নেওয়ার ওই ভিডিয়ো দিয়ে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন অভিভাবক ও পড়ুয়াদের একাংশ।

চাঁচলের মহকুমাশাসক সব্যসাচী রায় বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিডিও-র কাছ থেকে রিপোর্ট পেলেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’’

Advertisement

প্রশাসনিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পেতে কোনও টাকা লাগে না। কন্যাশ্রীর দুটি শ্রেণি রয়েছে। ১৮ বছরের নীচে কে-১ ও ১৮-র বেশি বয়স হলে তারা কে-২ শ্রেণিতে পড়ে। ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কে-২ শ্রেণির ১৯৮ জন ছাত্রী রয়েছে। তাদের কাছ থেকেই টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।

অভিযোগ, স্কুলের এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মী কখনও বাড়িতে, কখনও মাদ্রাসায় বসে টাকা নিচ্ছেন। প্রতিবাদ জানিয়েও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। এর পর গোপনে টাকা নেওয়ার ঘটনার ভিডিয়ো তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘পোস্ট’ করা হয়।

ওই মাদ্রাসার পরিচালন সমিতির সম্পাদক তথা চাঁচল-২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি হবিবুর রহমান এ নিয়ে বলেন, ‘‘ঘটনার কথা শুনেছি। অভিযোগ প্রমানিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

যদিও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জ্বল হোসেন বলেন, ‘‘মিথ্যা অভিযোগ। কিছু ছাত্র অযথা জলঘোলা করার চেষ্টা করছে। ওই ভিডিয়ো ঠিক নয়।’’

যদিও এক পড়ুয়ার দাদা বলেন, ‘‘টাকা চাওয়ার প্রতিবাদ করলে সাফ বলা হয়, পাঁচ হাজার টাকা দিলে অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকবে, না হলে নয়। এ-ও বলা হয়, টিআইসি-র নির্দেশেই টাকা নেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনকে সব জানানো হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement