শোভন-রত্না সম্পর্ক দ্রুত স্বাভাবিক হোক, চায় মালবাজার

একই ভাবনার সঙ্গী দুলালবাবুর দীর্ঘ সময়ের ঘনিষ্ঠ রতন ভৌমিক এবং মালবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন সাহা। স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে ৮০ জন কর্মী মালবাজারে দাস পরিবারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। তাদের সকলের গলাতেও আশঙ্কার সুর।

Advertisement

সব্যসাচী ঘোষ

মালবাজার শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৮ ০৩:০৭
Share:

শ্বশুরবাড়ি: কলকাতার মেয়রের শ্বশুরের বাড়ি। নিজস্ব চিত্র

কলকাতার বাইরে প্রকৃতির মাঝে দ্বিতীয় আবাস তৈরির টানেই তিনদশক আগে মালবাজারে জমি-বাড়ি গড়েছিলেন ওঁরা। মালবাজারের স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে সেই থেকেই দাস পরিবারের নাড়ির টান। মহেশতলা পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান দুলাল দাসকে তাই ঘরের লোক বলেই মনে করেন মালবাজারের বাসিন্দারা। দুলালবাবুর একমাত্র মেয়ে রত্নাদেবীর স্বামী শোভন চট্টোপাধ্যায় যখন কলকাতার মেয়র হলেন, তখন মালবাজারেও খুশির ঢেউ উঠেছিল। জামাইয়ের কৃতিত্বে মালবাজার শহরে দুলালবাবুদের অনেক পারিবারিক বন্ধুই গর্ব অনুভব করতেন। কিন্তু মেয়ে-জামাইয়ের বিনি সুতোর বাঁধন আজ আলগা হয়ে গিয়েছে অনেকটাই। টেলিভিশন আর খবরের কাগজে শোভন-রত্না পরস্পরকে তোপ দেগেছেন। সম্পর্কটাই ভেঙে পড়ার মুখে। তাই মন ভাল নেই মালবাজারের।

Advertisement

মালবাজার বাসস্ট্যান্ডের উল্টো দিকে দুলালবাবুদের হোটেল, ক্যালটেক্স এলাকায় পেট্রোল পাম্প, তেশিমিলা এলাকায় কয়েক একর জমিসহ বাংলো বাড়ি। এসব দেখাশোনা করতে প্রতি মাসেই কয়েকটা দিন কাটাতে দাস পরিবারের সদস্যরা মালবাজারে আসেন। দুলালবাবুর মেয়ে-জামাইও সেই সূত্রে ডুয়ার্সের বাড়ি, হোটেল ঘুরে গিয়েছেন বেশ কয়েকবার। তাই আজ রত্নাদেবী ও শোভনবাবুর সম্পর্ক ভেঙে পড়তে দেখে উদ্বেগ চেপে রাখতে পারছে না মালবাজার। পরিস্থিতি যে দিকে মোড় নিয়েছে তাতে এখানকার বাসিন্দা তথা দাস পরিবারের ঘনিষ্ঠ পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়, উৎপল ভাদুড়ি, প্রবীর দাস সকলেই দুশ্চিন্তায়।

উৎপল, প্রবীররা বলছিলেন, ‘‘রত্নাদি তো দিদির মতো, তাঁর সংসার ভাল থাকুক, তিনি শান্তিতে থাকুন, তাঁর আর শোভনদার সম্পর্ক আগের মতো স্বাভাবিক হয়ে উঠুক—এটাই আমরা চাই।’’ একই ভাবনার সঙ্গী দুলালবাবুর দীর্ঘ সময়ের ঘনিষ্ঠ রতন ভৌমিক এবং মালবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন সাহা। স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে ৮০ জন কর্মী মালবাজারে দাস পরিবারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। তাদের সকলের গলাতেও আশঙ্কার সুর।

Advertisement

মালবাজারের পরিচিত পরিজনেরা তাঁদের পরিবারের পাশে আছেন জেনে রত্নাদেবীর ভাই শুভাশিস দাস বলেন, ‘‘১৯৯৪ সাল থেকে মালবাজারকে আমাদের দ্বিতীয় বাড়ি বলেই মেনে এসেছি। এই কঠিন সময়ে সকলে আমাদের পাশে রয়েছেন জেনে তাঁদের সকলকেই কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন