বাড়তি পুলিশ ফাঁড়ি ডুয়ার্সে, ঘোষণা মমতার

কুলতলির রিসর্টে পর্যটকদের উপর ডাকাতি ও গুলিচালনার পরে রাজ্যের পর্যটনের ভাবমূর্তি উদ্ধারে উদ্যোগী হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার ডুয়ার্সের সভায় মুখ্যমন্ত্রী মূর্তি এবং চাপড়ামারির মতো জনপ্রিয় পর্যটন এলাকায় পুলিশ ফাঁড়ি তৈরির নির্দেশ দিলেন। এ দিন মমতা বলেন, ‘‘সুনতালেখোলা লাগোয়া এলাকায় পুলিশ ক্যাম্প তৈরি করার জন্য বলা হয়েছে।’’ প্রশাসন সূত্রের খবর সুনতালেখোলা ছাড়াও গরুমারা জঙ্গলঘেরা মূর্তি, এবং চাপরামারির জঙ্গল-লাগোয়া পযর্টন কেন্দ্রেও নতুন পুলিশ ফাঁড়ি হবে। ডুয়ার্সের মেটেলি, সুনতালেখোলা, রকি আয়ারল্যান্ড, মৌচুকি প্রভৃতি ঢেলে সাজিয়ে সেখানে হোম ট্যুরিজম চালু হবে বলে সভায় জানান মমতা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালবাজার ও বীরপাড়া শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৫ ০২:৫৪
Share:

সুনতালেখোলা থেকে পায়ে হেঁটে রকি আইল্যান্ডের পথে মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার দীপঙ্কর ঘটকের তোলা ছবি।

কুলতলির রিসর্টে পর্যটকদের উপর ডাকাতি ও গুলিচালনার পরে রাজ্যের পর্যটনের ভাবমূর্তি উদ্ধারে উদ্যোগী হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার ডুয়ার্সের সভায় মুখ্যমন্ত্রী মূর্তি এবং চাপড়ামারির মতো জনপ্রিয় পর্যটন এলাকায় পুলিশ ফাঁড়ি তৈরির নির্দেশ দিলেন। এ দিন মমতা বলেন, ‘‘সুনতালেখোলা লাগোয়া এলাকায় পুলিশ ক্যাম্প তৈরি করার জন্য বলা হয়েছে।’’ প্রশাসন সূত্রের খবর সুনতালেখোলা ছাড়াও গরুমারা জঙ্গলঘেরা মূর্তি, এবং চাপরামারির জঙ্গল-লাগোয়া পযর্টন কেন্দ্রেও নতুন পুলিশ ফাঁড়ি হবে। ডুয়ার্সের মেটেলি, সুনতালেখোলা, রকি আয়ারল্যান্ড, মৌচুকি প্রভৃতি ঢেলে সাজিয়ে সেখানে হোম ট্যুরিজম চালু হবে বলে সভায় জানান মমতা।

Advertisement

ট্যুর অপারেটরদের একাংশ দাবি করেছেন, ডুয়ার্সের আরও কয়েকটি এলাকায়, বিশেষত জলদাপাড়ায় পুলিশ ফাঁড়ি প্রয়োজন। ইতিমধ্যে মালবাজার লাগোয়া গজলডোবাতেও নতুন থানা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারের জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘পযর্টন কেন্দ্রগুলিতে মুখ্যমন্ত্রী তিনটি নতুন পুলিশ ফাঁড়ি তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন।’’ প্রশাসন সূত্রে খবর, জনপ্রতিনিধিদেরও পর্যটকদের নিরাপত্তায় এগিয়ে আসতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী।

ইস্টার্ন হিমালয় ট্র্যাভেল এন্ড ট্যুর অপারেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের কাযকরী সভাপতি সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।’’

Advertisement

নিরাপত্তা ছাড়াও এ দিন পর্যটন শিল্পের জন্য ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দের কথা ফের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদ ও বন দফতর পর্যটনের জন্য আলাদা ভাবে টাকা বরাদ্দ করবে বলেও জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘অন্যান্য বারের তুলনায় পর্যটনে বরাদ্দ আটগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।’’ বানারহাটে ইকো ট্যুরিজমের পাশাপাশি ক্ষুদ্র শিল্পও তৈরি করতে চান বলে জানান তিনি।

সভার পর বেলা পৌনে চারটে নাগাদ মঞ্চের পেছনে বৈঠকে বসেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেখানেও ডুয়ার্সে পর্যটকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ত্রুটি না রাখার নির্দেশ দেন কর্তাদের।

এদিন দুপুরে সুনতালেখোলা থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটার হেঁটে সামসিঙের রকি আইল্যান্ডে যান মুখ্যমন্ত্রী। মূর্তি, কুমাই এবং রকি আইল্যান্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থকেরা পযর্টনের উন্নয়ন চেয়ে স্মারকলিপি দেন মুখ্যমন্ত্রীকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন