মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
চনমনে হয়ে উঠছে চ্যাংড়াবান্ধা! আগামী মঙ্গলবার, ১০ জুলাই এখানেই কোচবিহার জেলার প্রশাসনিক বৈঠক করার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বৈঠক ঘিরে প্রশাসনের তৎপরতা তুঙ্গে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ছোট্ট শহরটিতে।
আশায় বুক বাঁধছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। বৈঠক হবে চ্যাংড়াবান্ধা কমিউনিটি হলে। বৈঠকে যোগ দিতে মুখ্যমন্ত্রী-সহ অন্য ভিভিআইপিদের আসতে হবে চ্যাংড়াবান্ধা সার্ক রোড ধরে। চ্যাংড়াবান্ধা বিডিও অফিস থেকে ভিআইপি মোড় পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার জুড়ে বেহাল সার্ক রোড। যানজটও নিত্যযাত্রীদের প্রতিদিনের দুর্ভোগের কারণ। বৈঠকের দিন যানজট নিয়ন্ত্রণ-সহ সব কিছু ঠিকঠাক উতরে দেওয়া প্রশাসনের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। তবে বাসিন্দাদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর আসার খবর চূড়ান্ত হতেই এলাকার বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন।
প্রশাসনের এত সক্রিয়তা আগে দেখেননি সাধারণ মানুষ। তাঁরা চাইছেন, চ্যাংড়বান্ধার বৈঠক যদি বাতিলও হয়ে যায়, তাহলে সেটা যেন শেষ মুহূর্তে হয়। কারণ ততক্ষণে এলাকার অবস্থা অনেকটা চাঙ্গা হয়ে উঠবে। বেহাল সার্ক রোডের হালও ফিরবে। যে কমিউনিটি হলে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক করার কথা, সেই হলের চারপাশেও বালি, মাটি ফেলে সংস্কার চলছে জোর কদমে।
শনিবারও চ্যাংড়াবান্ধায় কমিউনিটি হলের কাজকর্ম পরিদর্শন করে গিয়েছেন পুলিশ এবং কোচবিহার জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন অধিকারিকরাও। বিভিন্ন বিষয়ে তাঁরা ঘনঘন খোঁজখবরও নিচ্ছেন। যদিও এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি প্রশাসনের কোনও কর্তাই।