শিলিগুড়িতে ভাইচুং ভুটিয়ার সমর্থনে দেওয়াল লিখন। নিজস্ব চিত্র।
প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিয়েছেন ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার দিনই। তৃণমূল নেত্রী এ বার প্রচারেও নেমে পড়তে চাইছেন সবার আগেই। অন্তত উত্তরবঙ্গে তো বটেই।
রাজ্যে এ অংশে তৃতীয় দফায়, ১৭ মে ভোট হলেও সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে দার্জিলিং জেলার প্রচারে আসতে চলছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ১৪ মার্চ এবং ১৫ মার্চ দুদিন জেলায় দুটি জনসভা করা কথা ঠিক হয়েছে মমতা’র। তার আগেই অবশ্য মালদহে ৯ তারিখ প্রথম কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূলনেত্রীর। সেখানে জেলা ক্রীড়া সংস্থার মাঠে প্রার্থীদের নিয়ে সভা হবে।
তৃণমূল সূত্রের খবর, আপাতত ঠিক হয়েছে, ১৪ মার্চ দুপুরে সমতলের শিলিগুড়ির ইন্দিরা গাঁধী ময়দানে জনসভা হবে। পরদিন, পাহাড়ের কার্শিয়াঙে দ্বিতীয় সভাটি করবেন দলনেত্রী। আজ, সোমবার দুপুরে শহরের যাদব সমিতি ভবনে জেলা কমিটির বৈঠক ডেকেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
দলীয় সূত্রের খবর, দার্জিলিং জেলার প্রার্থী তালিকা নিয়ে দলের অন্দরে ক্ষোভ-বিক্ষোভ শোনা যাচ্ছে। বিশেষ করে সমতলের শিলিগুড়ি আসনে টিকিটের একাধিক দাবিদারকে কাউকে টিকিট না দিয়ে ভাইচুং ভুটিয়াকে প্রার্থী করা হয়েছে। ভাইচুং গত লোকসভা ভোটে দার্জিলিং জেলা আসনটিতে ২ লক্ষের মত ভোটে হেরেছিলেন।
এ ছাড়া পাহাড়ের কালিম্পং আসনে প্রাক্তন মোর্চা নেতা হরকাবাহাদুর ছেত্রী এবং জিএনএফ ছেড়ে আসা শান্তা ছেত্রীকে কার্শিয়াঙে প্রার্থী করা হয়েছে। পাহাড়েও তৃণমূলের অনেক নেতাই টিকিটের দাবিদার হলেও তাঁদের ভাগ্যেও শিকে ছেঁড়েনি। এই অবস্থায় ভোটের প্রচারে দলের ‘পুরানো’ নেতানেত্রীরা যাতে কোনওভাবেই চুপচাপ বসে না থেকে এখনই ময়দানে নেমে পড়েন, তা নিশ্চিত করে নির্দেশ দিতেই তৃণমূল নেত্রীর সাত তাড়াতাড়ি দার্জিলিং জেলা সফর বলেই প্রবীণ তৃণমূল নেতারা মনে করছেন। দলের জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার রবিবার বলেছেন, ‘‘এ মাসেই তৃতীয় সপ্তাহে দলনেত্রী আসছেন। আমরাও সবাই মিলে পুরোদমে নেমে পড়েছি।’’
তৃণমূল সূত্রের খবর, ১৪ মার্চ দুপুরে বিমানে শিলিগুড়ি পৌঁছনোর পরে ইন্দিরা গাঁধী ময়দানে সভা করবেন তৃণমূল নেত্রী। সভার পর তিনি কার্শিয়াং চলে যাবেন। পরদিন, কার্শিয়াঙে পাহাড়ের প্রার্থীদের সমর্থনে সভা করবেন। ১৬ মার্চ দুপুরের বিমানে তাঁর কলকাতা ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে।