— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
মালদহে আবার একটি অশান্তির ঘটনা। এ বার খুনের ঘটনা! ঘটনাস্থল কালিয়াচক থানার চরিঅনন্তপুর গোয়ালপাড়া। মৃতের নাম বিকাশ ঘোষ। তাঁকে খুনে অভিযুক্ত যুবক মনোজ ঘোষও গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, সামান্য কথা কাটাকাটি থেকে দুই যুবক একে অপরকে মারধর করেন। এক জন ছুরি বার করে আঘাত করেন অপরকে। দু’জনকেই রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিকাশ নামে যুবকের ছুরির আঘাতে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। মৃতের প্রতিবেশীদের অভিযোগ, মত্ত অবস্থায় বিকাশকে গালাগালি করেন মনোজ। তার প্রতিবাদ করতে গিয়ে মারামারিতে জড়ান যুবক। তখন ধারালো অস্ত্র দিয়ে বিকাশকে কোপান মনোজ। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কালিয়াচক থানার পুলিশ।
বস্তুত, গত কয়েক দিনে মালদহে একের পর হিংসা এবং অপরাধের ঘটছে। বিরোধীরা আঙুল তুলেছে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দিকে। শনিবার রাতে মালদহের ইংরেজবাজার পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদরঘাট পুড়াটুলি এলাকায় গুলি চলে। ঘটনাস্থল মানিকচকের বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রের বাড়ির কাছাকাছি। গুলিতে জখম হয়েছেন বিপ্লব ঘোষ নামে এক ব্যক্তি।
অভিযোগ, পাড়ার অশান্তি মেটাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ওই যুবক। আবার শনিবার বিকেলে মালদহের ভূতনি থানা এলাকায় কুপিয়ে খুন করা হয়েছে এক তৃণমূল নেতাকে। আহত হন অন্তত ছ’জন। স্থানীয় সূত্রের খবর, জমি সংক্রান্ত বিবাদকে কেন্দ্র করে ওই অশান্তি।
মাস দুয়েক মালদহের ইংরেজবাজারে গুলি করে খুন করা হয় জেলার তৃণমূল কাউন্সিলর দুলাল সরকার ওরফে বাবলাকে। ওই ঘটনায় বেশ কয়েক জন গ্রেফতার হন। ধৃতদের মধ্যে ছিলেন জেলার প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি। যদিও গ্রেফতারির পরে তাঁকে বহিষ্কার করে তৃণমূল।