বধূকে কটূক্তি, বাধা দিতেই কোপ

ফের আক্রান্ত প্রতিবাদী। মালদহে স্ত্রীকে কটূক্তি করার প্রতিবাদ করে আক্রান্ত হলেন স্বামী। স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে স্ত্রীও জখম হন। ওই দম্পতিকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। রবিবার রাতে মালদহ জেলার পুকুরিয়া থানার কুতুবগঞ্জ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:২৬
Share:

মালদহ মেডিক্যালে আহত রেজাউল। — নিজস্ব চিত্র

ফের আক্রান্ত প্রতিবাদী। মালদহে স্ত্রীকে কটূক্তি করার প্রতিবাদ করে আক্রান্ত হলেন স্বামী। স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে স্ত্রীও জখম হন। ওই দম্পতিকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। রবিবার রাতে মালদহ জেলার পুকুরিয়া থানার কুতুবগঞ্জ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত প্রতিবেশী যুবক পলাতক। ওই দম্পতিকে রাতেই মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুকুরিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাত্র দেড় মাস আগে জোতসনারা বিবির সঙ্গে রতুয়া ২ ব্লকের কুতুবগঞ্জের বাসিন্দা রেজাউল হকের বিয়ে হয়। রেজাউল বেশিরভাগ সময়ই ভিন রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করেন। গ্রামে ফিরলেও দিনমজুরের কাজ করেন। এ বার কিছুদিন আগেই বাড়িতে ফিরেছেন তিনি। রেজাউলের ভাই মইনুল হকের অভিযোগ, প্রায় এক মাস ধরে প্রতিবেশী যুবক সেন্টু শেখ তাঁর বৌদিকে নানাভাবে উত্যক্ত করছিল। রাস্তাঘাট তো বটেই এমন কী বাড়িতে ঢুকেও নানা রকম অসভ্যতা করত। তিনি বলেন, ‘‘রবিবার সন্ধে নাগাদ বাড়ির সামনের রাস্তায় যখন বৌদি ঘুরছিল তখন ফের সেন্টু শেখ তাঁকে লক্ষ্য করে কটূক্তি করে। দাদা সে সময় ঘরেই ছিল। বৌদির গলা শুনে বাইরে এসে প্রতিবাদ করতেই সেন্টু লুকিয়ে রাখা ধারালো অস্ত্র দিয়ে দাদাকে কোপাতে শুরু করে। দাদাকে আক্রান্ত হতে দেখে বৌদি ছুটে তাঁকে বাঁচাতে যায়। তখনই তাঁর মাথায় কোপ দেওয়া হয়। এরপরই সেন্টু এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। দুজনেই রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়ে।’’

এরপরেই ওই দম্পতির চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। তারাই তাঁদের উদ্ধার করে মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এখানেই এখন চিকিৎসাধীন ওই দম্পতি। এ দিন জোতসনারা বিবি অভিযোগ করেন, বেশ কিছুদিন ধরেই প্রতিবেশী ওই যুবক তাঁকে উত্যক্ত করছিল। স্বামীকে তা জানিয়েওছিলেন। রবিবার সন্ধেয় ফের তাঁকে উত্যক্ত করে ওই যুবক। এই সময় তাঁর স্বামী বেড়িয়ে এসে প্রতিবাদ করায় ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে সেন্টু। রেজাউল বলেন, ‘‘সেন্টু প্রতিবেশী হয়েও আমার স্ত্রীর সঙ্গে এমন আচরণ করবে তা ভাবতেও পারিনি। বারবার একই ঘটনা ঘটায় আমি এর প্রতিবাদ করেছিলাম। কিন্তু আমাদেরই উপরেই অস্ত্র নিয়ে হামলা করল সে। এখন একটাই দাবি, পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করুক।’’ সেন্টুর পরিবারের কেউই বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন