ডিজে বাজানোর প্রতিবাদে ক্ষোভ

রবিবার দুপুরে পাটকাপাড়া এলাকায় একটি পুজো কমিটি ডিজে বাজায় বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান। রবিবার রাতে আলিপুরদুয়ার জংশন এলাকায় একটি পুজো কমিটি নিয়ম না মেনে বড় সাউন্ড বক্স বাজানোয় সর্তক করে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৭ ০৮:২০
Share:

এ ভাবেই ডিজে বক্স বাজিয়ে চলে নাচ। নিজস্ব চিত্র

বিধি ভেঙে বিসর্জনের শোভাযাত্রায় ডিজে ও বড় বড় সাউন্ড বক্স বাজানো হয়েছে বলে অভিযোগ। অথচ, বিসর্জন শোভাযাত্রায় ডিজে বাজানো নিয়ে নজরদারি চালানোর কথা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির। এ বছর পুজোর আগেই জেলা পুলিশ সুপার নিজে ডিজে যাতে ব্যবহার না করা হয় তা নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দেন। তার পরেও কী ভাবে এমন হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এমনকী সাউন্ড বক্স বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভও দেখানো হয়।

Advertisement

রবিবার দুপুরে পাটকাপাড়া এলাকায় একটি পুজো কমিটি ডিজে বাজায় বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান। রবিবার রাতে আলিপুরদুয়ার জংশন এলাকায় একটি পুজো কমিটি নিয়ম না মেনে বড় সাউন্ড বক্স বাজানোয় সর্তক করে পুলিশ। ঘটনার জেরে বিসর্জনের মাঝ পথেই সাউন্ড সিস্টেম নিয়ে চলে যান সংশ্লিষ্ট সাউন্ড সিস্টেমের মালিক। এর প্রতিবাদে রাত দশটা নাগাদ পথ অবোরধ করে বিক্ষোভ দেখান পুজো কমিটির মহিলারা। পরে পুলিশ দুর্গা প্রতিমা নিয়ে গিয়ে বিসর্জন দিয়ে দেয়। রাত এগারোটা নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পুজো কমিটির মহিলাদের অবশ্য দাবি, তাঁরা বক্স বাজাচ্ছিলেন, পুলিশ ডিজে বলে তা বন্ধ করে দেয়।

গত বছর আলিপুরদুয়ার জেলা শহরে বড়বড় পুজো কমিটিগুলি নির্দিষ্ট শব্দমাত্রা অতিক্রম করেছিল বলে অভিযোগ। গত বছর পুলিশের তরফে কয়েকটি পুজো কমিটিকে সতর্কও করা হয়। পুলিশ সুপার আভারু রবীন্দ্রনাথ জানান, ডিজে বাজানোয় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। পুলিশ নজর রাখছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলায় প্রায় তিনশো পুজোর বিসর্জন রয়েছে দু’দিনে।

Advertisement

অভিভাবক মঞ্চের সম্পাদল ল্যারি বসু জানান, নিয়মের তোয়াক্কা না করেই চলছে ডিজে বাজানো। বড় বড় সাউন্ড বক্স ও চোখ ধাঁধানো আলো জ্বালিয়ে চলছে নিরঞ্জন শোভাযাত্রা। শহরে পুলিশের নাকের ডগায় আইনকে বুড়ো আঙুল দেখানো হলেও পুলিশ কার্যত দর্শক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ আধিকারিক জানান, রবিবার রাতে একটি পুজো কমিটির সাউন্ড বক্স বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নিয়ম মানা হচ্ছে না, এ ধরনের অভিযোগ আবার অহেতুক। ল্যারিবাবু বলেন, “এ বছর আমারা পুরো বিষয়টিতে নজর রাখছি। তারস্বরে মাইক বাজানোয় বহু বয়স্ক মানুষের অসুবিধে হয়। পুজো কমিটিগুলির তালিকা তৈরি করে জেলাশাসক, পুলিশ সুপারের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর দফতরেও পাঠানো হবে।” তবে বড় বড় কয়েকটি পুজো কমিটির সদস্যরা জানান, বছরে এক দিন আনন্দ করি, প্রশাসন এতেও কড়াকরি করলে কী আর করা যাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন