Dengue

ভরসা করতে হচ্ছে বাইরের রিপোর্টকেই

র‌্যাপিড কার্ড টেস্টে ডেঙ্গির নির্ণায়ক ওই পরীক্ষা হয়ে থাকে। রক্তের নমুনা পাঠালে সঙ্গে সঙ্গেই সেই পরীক্ষা হয়ে যায়। হাসপাতালে জ্বর নিয়ে ভর্তি সন্তোষ রায়, জগদীশ সরকাররা সেই মতো বাইরের ল্যাবরেটরি থেকে পরীক্ষা করিয়ে নিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০১৭ ০১:০৩
Share:

ভোগান্তি: জ্বর নিয়ে ভর্তি রোগীরা। শিলিগুড়ি হাসপাতালে। —নিজস্ব চিত্র।

ডেঙ্গির চিকিৎসার শুরুতে বেসরকারি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরির রিপোর্টই অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রধান ভরসা হয়ে উঠেছে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদেরও। হাসপাতালের রিপোর্ট কবে মিলবে তার ভরসায় না থেকে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালেও জ্বরের রোগীদের চিকিৎসকরা অনেক ক্ষেত্রেই বলে দিচ্ছেন বাইরে থেকে চটলজদি পরীক্ষা করিয়ে নিন। সেই মতো রোগীর আত্মীয়েরা রক্ত পাঠিয়ে বেসরকারি ল্যাবরেটরি থেকে করাচ্ছেন।

Advertisement

র‌্যাপিড কার্ড টেস্টে ডেঙ্গির নির্ণায়ক ওই পরীক্ষা হয়ে থাকে। রক্তের নমুনা পাঠালে সঙ্গে সঙ্গেই সেই পরীক্ষা হয়ে যায়। হাসপাতালে জ্বর নিয়ে ভর্তি সন্তোষ রায়, জগদীশ সরকাররা সেই মতো বাইরের ল্যাবরেটরি থেকে পরীক্ষা করিয়ে নিয়েছেন। তাতে দু’জনের শরীরেই র‌্যাপিড কার্ড টেস্টে এনএস-১ পরীক্ষায় ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে। ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের জ্যোতির্ময় কলোনির বাসিন্দা সন্তোষবাবু শুক্রবার সকালে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি হন। বাইরে তিনি যে রিপোর্ট করিয়েছেন চিকিৎসক তা দেখেই ডেঙ্গি রয়েছে বলে জানিয়েছেন। হাসপাতালে করা তাঁদের রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও আসেনি। রথখোলার বাসিন্দা জগদীশ চন্দ্র সরকারও হাসপাতালে ভর্তি হন ওই দিন। তাঁরও হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষা রিপোর্ট এখনও হয়নি। তাঁর মা কৃষ্ণাদেবী বলেন, ‘‘বাইরে থেকে রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট করেছেন। চিকিৎসক তা দেখেছেন। চিকিৎসা করছেন।’’

শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের সুপার অমিতাভ মণ্ডল বলেন, ‘‘বেসরকারি ল্যাবরেটরির রিপোর্টের উপর হাসপাতালের চিকিৎসকরা নির্ভর করেন না। ডেঙ্গির রিপোর্টে জীবাণু মিলল কি না সেটার চেয়েও এখন জোর দেওয়া হচ্ছে প্লেটলেট কাউন্টের দিক। সেটা আমরা প্রতিদিন করে দিচ্ছি। চিকিৎসরা বাইরের রিপোর্ট করতে বলছেন এমন কিছু জানাও নেই।’’ সুপার যাই বলুন না-কেন সরকারি হাসপাতালের রোগীদের আধিকাংশের বক্তব্য, বাইরের ল্যাবরেটরির রিপোর্টই ভরসা। হাসপাতালের রিপোর্ট চাইলেও অনেকে পাচ্ছেন না।

Advertisement

ম্যাক এলাইজা পরীক্ষায় জীবাণু না মিললে সরকারি হাসপাতালে রোগীদের ডেঙ্গি হয়েছে বলে ধরা হচ্ছে না। হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশ বলেন, ‘‘জ্বর পাঁচ দিন না হলে ম্যাক এলাইজায় কখনই ডেঙ্গি ধরা পড়বে না। তার উপর ভরসা করলে তো চিকিৎসাই করা যাবে না।’’ তা ছাড়া হাসপাতালেও এনএস-১ পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে রিপোর্ট পেতে দু’তিন দিন লেগে যাচ্ছে। চিকিৎসকদের শুরুতে তাই নির্ভর করতে হচ্ছে বেসরকারি ল্যাবরেটরির রিপোর্টের উপরেই। যদিও চিকিৎসকরা জানান, বাইরের পরীক্ষায় ডেঙ্গি নিশ্চিত না হলেও প্রাথমিক ভাবে আন্দাজ করা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন