শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস

 এক জনের খুন হওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। অন্য জনের মৃত্যুর কারণ এখনও রহস্যে মোড়া। সম্প্রতি রাজস্থানে মৃত মালদহের দুই প্রান্তে দুই শ্রমিকের বাড়িতে গিয়ে বৃহস্পতিবার সমবেদনা জানালেন কারওয়ান এ মহব্বত (ক্যারাভান অফ লাভ)-এর একদল প্রতিনিধি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চাঁচল শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:০৩
Share:

পাশে: সাকেরের বাড়িতে হর্ষ মন্দার, জন দয়াল। নিজস্ব চিত্র

এক জনের খুন হওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। অন্য জনের মৃত্যুর কারণ এখনও রহস্যে মোড়া। সম্প্রতি রাজস্থানে মৃত মালদহের দুই প্রান্তে দুই শ্রমিকের বাড়িতে গিয়ে বৃহস্পতিবার সমবেদনা জানালেন কারওয়ান এ মহব্বত (ক্যারাভান অফ লাভ)-এর একদল প্রতিনিধি।

Advertisement

সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি চাঁচলের স্বরূপগঞ্জের বাসিন্দা মৃত সাকের আলির মৃত্যু রহস্য উদ্ঘাটনে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে বলেও আশ্বাস দিয়েছে। ওই সংস্থার সর্বেসর্বা প্রাক্তন আইএএস হর্ষ মন্দার। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আক্রান্ত দলিত, সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়িয়ে আইনি সহায়তা দেওয়া সহ ঘৃণার রাজনীতি, হিংসা বাদ দিয়ে সম্প্রীতির বজায় রাখার বার্তা দেওয়াটাই যাদের মূল লক্ষ্য।

হর্ষ মন্দার, মানবাধিকার কর্মী জন দয়াল সহ প্রায় ২০ জনের প্রতিনিধি দলটি এদিন বিকেলে চাঁচলের স্বরূপগঞ্জে যান। তার আগে রাজসমন্দে খুন হওয়া শ্রমিক কালিয়াচকের সৈয়দপুরে আফরাজুল খানের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করেন।

Advertisement

গত ১৬ জানুয়ারি রাজস্থানের জয়পুরের শাস্ত্রীনগর থানা এলাকা থেকে ডেকরেটর শ্রমিক সাকেরের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। পরিজনদের দাবি, সাকের খুন হয়েছেন।

হর্ষ বলেন, ‘‘সাকেরের পরিজনদের দাবি তাঁকে খুন করা হয়েছে। সব জেনে প্রাথমিকভাবে আমাদেরও মনে হচ্ছে যে, সাকের খুন হয়েছেন। আমরা রাজস্থানে আমাদের আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করে ময়নাতদন্তে রিপোর্ট সংগ্রহ করব। তারপর প্রয়োজনীয় সহায়তা করা হবে।’’

এ দিন বিকেলে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীরা পৌঁছতেই গোটা গ্রাম মৃত সাকেরের বাড়িতে ভেঙে পড়ে। কথা বলতে গিয়ে ছেলের খুনিদের শাস্তি চাই বলে বারবার কেঁদে ওঠেন মা ওবেদা বিবি। শাস্ত্রীনগর থানার পুলিশ সহায়তা না করে উল্টে সেখানে থাকা মৃতের দাদা আনোয়ারুল হোসেনকে বেধড়ক মারধর করে তাকে সাদা কাগজে একাধিক টিপ স্বাক্ষর করিয়ে নেয় বলেও এদিন প্রতিনিধি দলটির কাছে অভিযোগ জানান ভাই রাকেশ আলি। পাশাপাশি সাকের যাদের সঙ্গে ভাড়াবাড়িতে থাকতেন, সেই নয়জন শ্রমিক কেন কাউকে কিছু না জানিয়ে পালিয়ে গিয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন