আগুন নেভাতে জলাধারই তৈরি হয়নি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে

হাসপাতালের সুপার কৌশিক সমাদ্দার বলেন, ‘‘ন্যূনতম সরঞ্জাম রয়েছে। তবে পূর্ণাঙ্গ অগ্নিনির্বাপক পরিকাঠামো তৈরির কাজ জোরকদমে চলছে। যত দ্রুত সম্ভব দমকলের ছাড়পত্র পেয়ে যাব।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৮ ০৪:৩৮
Share:

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ।

বড় আগুন লাগলে তা নেভানোর জন্য ভূগর্ভস্থ জলাধার আজও তৈরি হয়নি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। কলেজ ও হাসপাতালের করিডর, ওয়ার্ডে কিছু অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জাম রয়েছে। কিন্তু তা পর্যাপ্ত নয়। দমকলের খবর, সেগুলি বিধি মেনে ঠিকঠাক জায়গায় বসনো হয়নি। তাই আজও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ‘ফায়ার লাইসেন্স’ পায়নি বলে দমকল সূত্রেই জানা গিয়েছে। ফলে, অঘটন হলে তা সামাল দেওয়া নিয়ে উদ্বেগ রয়েই গিয়েছে স্বাস্থ্যকর্মী ও রোগীদের পরিবারের মধ্যে।

Advertisement

হাসপাতালের সুপার কৌশিক সমাদ্দার বলেন, ‘‘ন্যূনতম সরঞ্জাম রয়েছে। তবে পূর্ণাঙ্গ অগ্নিনির্বাপক পরিকাঠামো তৈরির কাজ জোরকদমে চলছে। যত দ্রুত সম্ভব দমকলের ছাড়পত্র পেয়ে যাব।’’ তবে হাসপাতালে ফায়ার অ্যালার্মের ব্যবস্থা রয়েছে বলে সুপারের দাবি।

হাসপাতালের কর্মীদের উদ্বেগের আরও একটি কারণ হল, সেখানে গজিয়ে ওঠা দোকানপাট। হোটেল থেকে শুরু করে বিভিন্ন খাবারের দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার জ্বালিয়ে রান্না হচ্ছে। যে কোনও সময় তা থেকে আগুন ছড়ালে তা রোধ করা মুশকিল হবে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা। তার উপরে স্টোভ জ্বালিয়ে চা ফেরিও চলছে করিডরে। শুধু তাই নয়, হাসপাতালের গ্যাস সরবরাহের লাইনও পুরানো। জলের যে পাইপ লাইন রয়েছে, তা-ও জীর্ণ হয়ে গিয়েছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, পাইপ লাইনের কাজ চলছে।

Advertisement

সেই তুলনায় শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের পরিকাঠামো কিছুটা উন্নত। জলাধার রয়েছে। শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে অন্তত ৫০টি অগ্নি নির্বাপক সরঞ্জাম রয়েছে। হাসপাতাল সূত্রের দাবি, মাস দুয়েক আগেই দমকলের তরফে পরিদর্শন করা হয়েছে। তবে জেলা হাসপাতালের বিদ্যুতের তার কয়েকটি এলাকায় খোলামেলা ভাবে রয়েছে। তা অবিলম্বে ঠিক করার পরামর্শ দিয়েছে দমকল। দমকলের এক আধিকারিক জানান, মেডিক্যাল কলেজে এক মাস আগেই পরিদর্শন করে কর্তৃপক্ষকে দ্রুত কিছু পদক্ষেপ করতে পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন