নাবালিকার গায়ে আগুন, ময়নাগুড়িতে ধৃত অভিযুক্ত

ফালাকাটার কাঠালবাড়ি গ্রামে নাবালিকার হাত পা বেঁধে গায়ে আগুন লাগানোর ঘটনায় বৃহস্পতিবার ময়নাগুড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্ত প্রেমিক দীপক সর্দারকে। অভিযুক্ত আশ্রয় দেওয়ায় আটক করা হয় একজনকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ফালাকাটা শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০১৬ ০১:৩৩
Share:

ফালাকাটার কাঠালবাড়ি গ্রামে নাবালিকার হাত পা বেঁধে গায়ে আগুন লাগানোর ঘটনায় বৃহস্পতিবার ময়নাগুড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্ত প্রেমিক দীপক সর্দারকে। অভিযুক্ত আশ্রয় দেওয়ায় আটক করা হয় একজনকে। অভিযুক্ত যুবকের কড়া শাস্তির দাবিতে ও ঘটনার প্রতিবাদে গ্রামের কয়েক’শো মহিলা নাগরিক মঞ্চ নাম নিয়ে মিছিল। মিছিলে অংশ নেওয়া গ্রামের মহিলা বেদনা সরকার বলেন, “নাবালিকাকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার জঘন্যতম ঘটনার প্রতিবাদ ও অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবিতে আজ গ্রামের মহিলারা মিছিল করি।”

Advertisement

অগ্নিদগ্ধা নাবালিকার অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাঁকে বীরপাড়া হাসপাতাল থেকে আজ সন্ধ্যায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যান পরিবারের লোক। বৃহস্পতিবার ফালাকাটা পুলিশ ধৃত অভিযুক্ত যুবককে নিয়ে কাঠালবাড়ি গ্রামে এসে কিভাবে ঘটনা ঘটাল তার নমুনা দেখাতে বলেন। প্রথমে যুবককে তাঁর বাড়িতে নিয়ে কোথায় তার গায়ে দেওয়া গেঞ্জি আছে তা খুঁজে বের করে। গেঞ্জিতে আজও কেরোসিনের গন্ধ পাওয়া যায়। তার পর পুলিশ যুবককে নিয়ে কোন ঘর থেকে নাবালিকা ডেকে বের করে কী ভাবে বাইরে নিয়ে হাত পা বাঁধা হয় এবং গায়ে আগুন দেওয়া হয় তার নমুনা দেখায়। ঘটনাস্থলের কাছ থেকেই উদ্ধার হয় কেরোসিনের জারিকেন ও দেশলাই। গ্রামবাসীদের সামনে অভিযুক্ত যুবক স্বীকার করে বলে, কেন সে নাবালিকা গায়ে আগুন লাগিয়েছে।

তারপর অভিযুক্ত যুবক পর পর সম্পূর্ণ ঘটনা বলতে শুরু করে। সে বলে, ‘‘আমার প্রেমিকার অন্য কোথাও বিয়ে হবে তা মন থেকে মানতে পারিনি। আমি সিদ্ধান্ত নিই, আমার প্রেমিকা আমার না হলে অন্য কারও হতে দেব না।’’ সে জানায়, সেই ক্রোধের বশে কয়েকদিন থেকে তাঁকে শেষ করে দেওয়ার মতলব করছিল। মঙ্গলবার দিনের বেলায় এক ফাঁকে প্রেমিকাকে বলে, তোমার তো অন্য জায়গায় বিয়ে হয়ে যাবে তাই আজ রাতে শেষ বারের জন্য তোমার সঙ্গে কথা বলতে চাই। সেই মতলবে তাকে জ্বালিয়ে মারার জন্য কেরোসিন তেল ও দড়ি যোগাড় করে রাত আড়াইটা তিনটা নাগাদ তাকে গিয়ে ডাক দিতেই সে ঘর থেকে বেড়িয়ে আসে। সে বলে, ‘‘প্রেমিকা বেরিয়ে আসার আগেই আমি ঘটনাস্থলে তেল ও দড়ি লুকিয়ে রেখে আসি। তারপর পাশের বাড়ির কাছে একটি ঝোপ জায়গায় খেলার মতো করে তাঁকে বেধে ফেলেই তাড়াতাড়ি দেশলাই জ্বালিয়ে গায়ে আগুন লাগিয়ে বাড়িতে গিয়ে পড়নের কাপড় পাল্টিয়ে পালিয়ে যাই।’’ শুনে গ্রামবাসী ও পরিবারের লোকজনরা আশ্চর্য হয়ে যায়।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন