‘ভোটকর্মী হিসেবে ডাক পেলে কেউ নাম কাটাবেন না’

গৌতমবাবুর মন্তব্য, ‘‘প্রার্থীর হয়ে প্রচার আমরা করে দেব। আপনারা শুধু ভোটকর্মী হিসেবে কাজ করুন। বিরোধীদের সব চক্রান্ত ভেস্তে দিন।’’ এ দিনের কনভেনশনে সংবাদমাধ্যমও উপস্থিত ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:৪৩
Share:

গৌতম দেব।

আগামী পঞ্চায়েত ভোটের ডিউটির তালিকা থেকে তৃণমূল প্রভাবিত সরকারি কর্মী সংগঠনের কেউ যাতে নাম না কাটাতে পারে, তা দেখার নির্দেশ দিলেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী তথা তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি গৌতম দেব। রবিবার শিলিগুড়ির গার্লস স্কুলে তৃণমূলের সরকারি কর্মী ফেডারেশনের কনভেনশনে গৌতমই ছিলেন প্রধান অতিথি। সরকারি কর্মীদের ভিড়ে ঠাসা সভায় তিনি বলেন, ‘‘সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। ভোটকর্মী হিসেবে কাজে ডাক পেলে কেউ নাম কাটাবেন না। অসুস্থ হয়ে পড়লে এক কথা। কিন্তু সংগঠনের কাজ অথবা অন্য কোনও যুক্তি শোনা হবে না।’’

Advertisement

পঞ্চায়েত ভোটের এক বছরের মধ্যে লোকসভা ভোট। দুই ভোটের আগে শাসকদল প্রভাবিত সরকারি কর্মী সংগঠনকে সক্রিয় করতে চাইছে দলের নেতারা। সরকারি সব সংগঠনকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসার প্রক্রিয়া জেলাতেও চলছে। কেন ভোটের কাজ করতে বলছেন, তার কারণও ব্যাখ্যা করেন মন্ত্রী। তাঁর কথায়, কোন ভোট এলেই তৃণমূল প্রভাবিত কর্মী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সংগঠনের হয়ে ‘প্রচার’ চালাবেন বলে যুক্তি দিয়ে দলীয় নেতৃত্বের থেকে চিঠি লিখিয়ে কমিশনে জমা দেন। জেলা নেতৃত্বের সই করা সেই আবেদনের ভিত্তিতে কমিশন সংশ্লিষ্ট কর্মীর নাম বাদ দিয়ে দেয়। সব দলের কর্মী সংগঠনের ক্ষেত্রে এমনটাই প্রথা। গৌতমবাবুর অভিযোগ, বিরোধী বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা ভোটকর্মী হিসেবে কাজে গিয়ে নানা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করলেও বাধা দেওয়ার মতো ফেডারেশনের কোনও কর্মী পাওয়া যায় না।

গৌতমবাবুর মন্তব্য, ‘‘প্রার্থীর হয়ে প্রচার আমরা করে দেব। আপনারা শুধু ভোটকর্মী হিসেবে কাজ করুন। বিরোধীদের সব চক্রান্ত ভেস্তে দিন।’’ এ দিনের কনভেনশনে সংবাদমাধ্যমও উপস্থিত ছিল। ভোটের কাজ নিয়ে মন্তব্যের যাতে ভুল ব্যাখ্যা না হয়, সে জন্য মন্ত্রী বলেন, ‘‘কারও পক্ষ নিয়ে ভোট করাতে হবে না। সুষ্ঠু ভাবে ভোট করাবেন। সকলে যাতে ভোট দিতে পারে, সেই ব্যবস্থা করবেন।’’

Advertisement

শাসক দলের কর্মী সংগঠন জেলায় কতটা সক্রিয় তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন গৌতমবাবু। সম্প্রতি তথ্য-সংস্কৃতি দফতরের এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মীকে অন্য জেলায় বদলি করা হয়। সে প্রসঙ্গে গৌতম বলেন, ‘‘একে ওই কর্মী বয়স্ক। তা ছাড়া চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদের সাধারণত বদলি করা হয় না। এ নিয়ে আমি সংশ্লিষ্ট দফতরে যোগাযোগ করছি। কিন্তু ফেডারেশনের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।’’

গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভুলে সকলকে এক হয়ে কাজ করার নির্দেশও দেন তিনি। সংগঠনের চার হাজার সদস্য রয়েছে বলে জানানো হয়। গৌতমবাবু ছুটির দিনে একটি বড় সভা করে সব সদস্যকে জড়ো করার নির্দেশ দিয়েছেন। মন্ত্রীর কথায়, ‘‘আমিও দেখতে চাই সংগঠনের কত জোর রয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন