নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করল প্রশাসন

কন্যাশ্রী দিবসের দিন এক নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করল প্রশাসন-পুলিশ। মেয়ে সাবালক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না বলে প্রশাসনের কাছে লিখিত মুচলেকা দিলেন নাবালিকার অভিভাবকেরা। রবিবার বিকেলে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ ব্লকের ১৪১ কামাত চ্যাংরাবান্ধা গ্রামের ঘটনা। ওই নাবালিকার বাবা কৃষিকাজ করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০১৬ ০২:২৮
Share:

কন্যাশ্রী দিবসের দিন এক নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করল প্রশাসন-পুলিশ। মেয়ে সাবালক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না বলে প্রশাসনের কাছে লিখিত মুচলেকা দিলেন নাবালিকার অভিভাবকেরা। রবিবার বিকেলে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ ব্লকের ১৪১ কামাত চ্যাংরাবান্ধা গ্রামের ঘটনা। ওই নাবালিকার বাবা কৃষিকাজ করেন। সে স্থানীয় চৌরঙ্গী হাই স্কুলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। বছর দেড়েক আগে পরিচিতদের মাধ্যমে মেয়েটির পরিবারের সঙ্গে ময়নাগুড়ি থানার বৈকুন্ঠপুর গৌরগ্রামের এক যুবকের পরিচয় হয়। তিনিও কৃষিজীবী। সম্প্রতি কেরলে শ্রমিকের কাজ করে ফিরেছেন। সম্প্রতি ওই যুবক নাবালিকাকে বিয়ে করার জন্য জোরাজুরি শুরু করে। তাঁর সঙ্গে বিয়ে না হলে মেয়েটিকে কোথাও বিয়ে ঠিকঠাক হতে দেবেন না বলেও হুমকি দেয় বলে অভিযোগ।

Advertisement

এ দিন নাবালিকার বিয়ের পাকা কথার আয়োজন করা হয়েছিল। মেয়েটির বাবা ২০ হাজার টাকা ঋণও করেন। সকালে অনুষ্ঠানের আগেই গ্রামে যান স্থানীয় বিডিও বীরুপাক্ষ মিত্র-সহ পুলিশ অফিসার, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা। তাঁরা প্রথমেই অনুষ্ঠান বন্ধ করে সকলকে নিয়ে আলোচনায় বসেন। এ দিন কোনওভাবে আগাম খবর পেয়ে যাওয়ায় মাঝরাস্তা থেকে পাত্র পরিবার নিয়ে মেখলিগঞ্জমুখো হয়নি।

বিডিও জানান, এ দিন আইন ও অল্প বয়সে মেয়েদের বিয়ের সমস্যা-সহ সমস্ত কিছু বোঝানোর পরে নাবালিকার পরিবার অনুষ্ঠান বাতিল করেন। ময়নাগুড়ি থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে পাত্রের পরিবারকে ডেকে বিষয়টি বোঝাতে বলা হয়েছে। ওই নাবালিকা কন্যাশ্রীর প্রকল্পের ফর্মও তুলেছিল। কিন্তু বিয়ে হবে জেনে তা আর জমা দেয়নি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement