বোমা: হাতের মুঠোয় বোমা। বুধবার দুপুরে রায়গঞ্জে তাণ্ডব চলার সময়। নিজস্ব চিত্র
কখনও তির-ধনুক নিয়ে রাস্তায় দাপিয়ে বেড়ানোর ছবি। আবার কখনও পিস্তল-রাইফেল নিয়ে গুলি ছোড়া। যথেচ্ছ বোমার ঘটনাও তো কম ঘটে না। সব মিলিয়ে রায়গঞ্জ যেন সেই ‘ভয়ের শহরই’!
অন্তত, ভুক্তভোগী বাসিন্দাদের অনেকেই এমন ভাবছেন। দলমত নির্বিশেষে নেতা, বিশিষ্টজনদের অনেকেরই অভিযোগ, পুলিশের একাংশের নিষ্ক্রিয়তায় শহরে দেদার বোমা-পিস্তল ঢুকেছে। একশ্রেণির নেতার মদতে বেআইনি অস্ত্র নিয়ে কিছু দুষ্কৃতী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। দ্রুত পুলিশ কড়া হাতে দুষ্কৃতী দমনে তৎপর না হলে শহরে আতঙ্ক জাঁকিয়ে বসবে বলেও মনে করছেন অনেকেই। বিজেপির জেলা সভাপতি নির্মল দামের বক্তব্য, ‘‘পুলিশ কোথায় থাকবে না সেটা হামলাকারীদের কাছে আগাম খবর ছিল।’’ জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্যও মনে করেন, দুষ্কৃতীরা প্রকাশ্যে গুলি ও বোমা নিয়ে দাপাদাপি করেও ধরা পড়ছে না। তাতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহের দাবি, ‘‘আমরা তৎপরই রয়েছে। গ্রেফতার হচ্ছে। আগ্নেয়াস্ত্র ধরা হচ্ছে।’’
গত ৯ ফেব্রুয়ারি রায়গঞ্জের শিলিগুড়ি মোড় এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় এক ছাত্রের মৃত্যুর পর অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল এলাকা। পুলিশের বিরুদ্ধে যান নিয়ন্ত্রণের কাজে গাফিলতির অভিযোগে ওই দিন বাসিন্দাদের বিক্ষোভ চলাকালীন দুষ্কৃতীরা পুলিশকে বোমা ও গুলি ছোড়া হয়। পুলিশকর্মীদের মারধর করে ভাঙচুর করা হয়।
গত বছর মে-তে রায়গঞ্জ পুরসভা ভোটের দিনও শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিরোধীদের উপর গুলি ও বোমা নিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে। বুধবারও রায়গঞ্জের হাসপাতাল রোড এলাকায় বিজেপি কর্মীদের তাড়া করে তাদের লক্ষ্য করে পর পর বোমা ও শূন্যে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের কর্মীদের বিরুদ্ধে।