গত সপ্তাহ থেকে একাধিকবার ডাকঘরে গিয়ে টাকা না পেয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন গ্রাহকেরা।
সোমবার সকালে শিলিগুড়ি দেশবন্ধুপাড়ার ঘটনা। শনিবারের পর সপ্তাহের কোনও লেনদেন ডাকঘর থেকে না হওয়ায় তাঁরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। ডাকঘরটিতে তালা মেরে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। শেষে শিলিগুড়ি থানা থেকেও পুলিশ গিয়ে গ্রাহকদের বুঝিয়ে শুনিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।
এ দিন বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন প্রবীণ। কেউ পেনশন অ্যাকাউন্টের টাকা তুলতে বা জমা দিতে গিয়েছিলেন, কেউবা ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট ভাঙাতে যান। ক্ষুব্ধ গ্রাহকদের অভিযোগ, নোট বাতিলের পরে সবে পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবারের পর থেকে পোস্টমাস্টার ছুটিতে আছেন। তার বদলে প্রধান ডাকঘর থেকে একজনকে দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়। তিনি প্রথমে জানান, কম্পিউটারে অ্যাকাউন্ট লেনদেন সংক্রান্ত কাজ করার জন্য তাঁর কাছে প্রয়োজনীয় পাসওয়ার্ড নেই। চেন্নাই থেকে পাসওয়ার্ড দেওয়া হবে। শনিবারের পর রবিবার ছুটি ছিল। সোমবারও প্রথমে তিনি এক কথা বলেন। শেষে শরীর খারাপ বলে ডাকঘর থেকে চলে যান। প্রয়োজনীয় পাসওয়ার্ড ছাড়া কীভাবে অফিসার পাঠানো হল, সেই প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ দেখান গ্রাহকেরা। তাঁদের ক্ষোভ, ডাকঘর কর্তৃপক্ষের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার জন্য গ্রাহকদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আজ, মঙ্গলবার থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের পেনশনের টাকা দেওয়ার দিন। টাকা বা পরিষেবা না মিললে ডাকঘরটি তালা মারার হুমকি দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। সমস্যা কথা স্বীকার করে নিয়েছেন শিলিগুড়ির হেড পোস্টমাস্টার অনিরুদ্ধ কুণ্ডু। তিনি বলেন, ‘‘সমস্যা তো হয়েছেই। আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি।’’ তিনি জানান, চেন্নাই দফতর থেকে সমস্ত পাসওয়ার্ড অফিসারদের দেওয়া হয়। শনিবার, রবিবার সেখানে ছুটি থাকায় সমস্যা বাড়ে।
নিউ সিনেমা মোড় থেকে এনটিএস মোড় হয়ে ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দিকে যাওয়ার রাস্তায় ডানদিকে ডাকঘরটিতে ২০০-রও বেশি গ্রাহক রয়েছেন। তবে পোস্টমাস্টার ছাড়া একজনই কর্মী ডাকঘরে রয়েছে। এ দিন বিক্ষোভকারীরা আরও ভিযোগ জানান। তাঁদের দাবি, ডাকঘরটিতে বসার জায়গা, শৌচাগার, পানীয় জলের ব্যবস্থা ঠিক নেই। কর্মীরাও ঠিকঠাক ব্যবহার করেন না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া প্রয়োজন।