মিশ্র প্রভাব বন্‌ধে

জেলা আদালতের গেট আটকে পিকেটিং করছিলেন বিজেপি কর্মীরা। যুব তৃণমূলের মিছিল নিয়ে সে রাস্তায় ঢুকে পিকেটিংয়ের দিকে তেড়ে যান জেলা যুব সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি: শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৫:৪৬
Share:

শিলিগুড়ির রাস্তায় বন্‌ধ সমর্থকদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি পুলিশের। সন্দীপ পাল ও বিশ্বরূপ বসাক

একপক্ষের হাতে লাঠি-বাঁশ ছিল, অন্যপক্ষের বাইক বাহিনী। রাস্তায় দুই দলের মিছিল হল। কোথাও সরকারি বাস দেকে রে রে করে তেড়ে গেলেন পদ্মফুলের পতাকা ধরার কর্মীরা। আবার কখনও আদালতের গেটে দাঁড়ানো বিজেপি কর্মীদের তাড়া করে হঠিয়ে দিল তৃণমূল। বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এমনই নানা ছবি দেখা গেল জলপাইগুড়ি শহরে।
বেসরকারি বাস কম

Advertisement


বেসরকারি বাসের দেখা মিলল না বুধবার সকাল থেকে। অন্য দিনের তুলনায় সরকারি বাসের সংখ্যা বেশি ছিল শহরের রাস্তায়। জলপাইগুড়ির কদমতলায় সকাল ন’টা থেকে পিকেটিং শুরু করে বিজেপি। হলদিবাড়িগামী একটি সরকারি বাস কদমতলায় পৌঁছতেই তেড়ে যান বিজেপি কর্মীরা। ততক্ষণে অবশ্য পুলিশ এসে নিরস্ত করে বন্‌ধ সমর্থকদের। তবে বেসরকারি বাস না পেয়ে নাকাল হতে হয়েছে যাত্রীদের।


দশ মিনিটের অবরোধ

Advertisement


হলদিবাড়ি প্যাসেঞ্জার ট্রেন জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনে থামতেই একদল বিজেপি কর্মী লাইনে নেমে পড়লেন। খবর পেয়ে পুলিশ, আরপিএফ অবরোধ তুলতে উদ্যোগী হলেই এক বিজেপি নেতা চেঁচিয়ে বললেন, “বলেছি না, দশ মিনিটে উঠে যাব।” ঘড়ি ধরে দশ মিনিট কাটিয়ে বিজেপি কর্মীরা সরে যেতেই ট্রেন ছাড়ে। বিজেপির জেলা সম্পাদক বাপি গোস্বামী বলেন, “যাত্রীদের সমস্যা আমরা চাই না। তাই প্রতীকি অবরোধ হয়েছে।” কাশিয়াবাড়ি স্টেশনেও একই ট্রেন অবরোধের মুখে পড়েছিল।


সুনসান শহর, হাজিরা ১০০


সকাল দশটার পোস্ট অফিস মোড়। যানজট নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খায় ট্র্যাফিক কর্মীরা। বুধবার সকালে দেখা গেল মোড়ের সবকটি সিগন্যাল পোস্টেই কমলা আলো জ্বলছে নিভছে। কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীর জবাব, “কটা লোকই বা যাচ্ছে। দু’একটা হাতে গোনা গাড়ি আর কিছু বাইক।’’ কদমতলা থেকে ডিবিসি রোড, দিনবাজার সব রাস্তাই দিনভর সুনসানই থাকল। তবে জেলাশাসক শিল্পা গৌরীসারিয়া জানিয়েছেন, এ দিন তাঁর অফিসে হাজিরা ছিল ১০০ শতাংশ।


দাদাগিরি


জেলা আদালতের গেট আটকে পিকেটিং করছিলেন বিজেপি কর্মীরা। যুব তৃণমূলের মিছিল নিয়ে সে রাস্তায় ঢুকে পিকেটিংয়ের দিকে তেড়ে যান জেলা যুব সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়। তাঁর পিছনে ছুটে যান লাঠি হাতে থাকে যুব তৃণমূল সমর্থকরা। সৈকত চিৎকার করে বলেন, “কিসের বন্‌ধ! ও সব এখানে চলবে না।” বিজেপি কর্মীরা পাল্টা জবাব দিতেই শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি। অন্যদিকে এ দিন সকাল ন’টা নাগাদ ডিবিসি রোডের একটি শপিং মলের দোকান খুলতে বাধা দেন বিজেপি কর্মীরা। পুলিশ তাতে বাধা দিলে বিজেপি যুব সভাপতি শ্যাম প্রসাদ বলেন, “আপনাদের কি মশাই! একজনও কেউ ঢুকবে না।” ভয় পেয়ে সরে যান মলের কর্মীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন