অন্য-ভূমিকা: যান নিয়ন্ত্রণে উদয়ন গুহ। নিজস্ব চিত্র
উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম দিন যানজট সামাল দিতে পথে নেমে পড়লেন বিধায়কও।
স্কুলের সময়ে যানজটে নিত্যদিনই নাজেহাল হতে হয় ছাত্রছাত্রী ও পথচলতি মানুষকে। বুধবার যাতে তেমন কোনও অভিজ্ঞতার মুখে না পড়তে না হয় সে জন্য রাস্তায় নামলেন বিধায়ক উদয়ন গুহ। সঙ্গীদের নিয়ে দিনহাটার এক মাথা থেকে আরেক মাথা ছুটে বেরিয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করলেন তিনি। একটি স্কুলের সামনে সার দিয়ে রাখা বাইক সরিয়ে ফেলতে পাঁচ মিনিট সময়ও বেঁধে দিলেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বাইক সরিয়ে ফেললেন সকলে। বিধায়কের ওই ভুমিকা অভিভাবকরা যেমন খুশি, তেমন প্রশ্নই ঊঠেছে পুলিশ থাকতে বার বার কেন বিধায়ককেই রাস্তায় নামতে হচ্ছে। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে যানজট নিয়ন্ত্রণে পতে নেমেছেন
বিধায়ক উদয়নবাবু অবশ্য বলেন, “পুলিশ তার কাজ করেছে। যানজট সারাতে ট্রাফিক পুলিশ সক্রিয় ছিল। পাশাপাশি আমরাও রাস্তায় নেমেছি যাতে সবকিছু স্বাভাবিক থাকে। কোনও ছাত্রছাত্রীকে যাতে অসুবিধের মধ্যে পড়তে না হয়।” উদয়নবাবু এ দিন সকাল সাড়ে ৯ টা নাগাদ প্রথমে দিনহাটা চৌপথী, সেখান থেকে সাহেবগঞ্জ রোড এবং পরে সোনিদেবী হাইস্কুলের সামনে যান। তিন জায়গাতেই তিনি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করেন। সোনীদেবী স্কুলের সামনে প্রচুর বাইক সারি দিয়ে রাখা হয়েছিল। তা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিধায়ক। স্কুলের মাইক হাতে তিনি বলেন, “অভিভাবকরা দায়িত্ব না নিলে যানজট কী ভাবে মুক্ত হবে।”
বিরোধীরা অবশ্য অভিযোগ তুলেছেন, দিনহাটায় যানজট নিত্যকার ব্যাপার। প্রশাসন, পুলিশ ও পুরসভার যৌথ উদ্যোগে ওই অবস্থার স্থায়ী সমাধান করতে হবে। বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি নিখিল রঞ্জন দে বলেন, “লোক দেখানোর জন্য ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ না করে স্থায়ী ভাবে ওই সমস্যার সমাধান করতে হবে। যাতে কখনও মানুষকে অসুবিধেয় পড়তে না হয়।” জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য জেলা জুড়েই ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করা হয়।”