উত্তরে মেঘ, এ বার বৃষ্টির পালা

সিকিমের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের ডিরেক্টর গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘‘দু’তিন দিনের মধ্যেই ভারি বৃষ্টি নামবে। মৌসুমী বায়ু পুরোদস্তুর ঢুকে পড়ায় পাকাপাকি ভাবে বর্ষা এসে গিয়েছে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০১৭ ০২:৫৩
Share:

তৃষ্ণা: গরমে ঢেলে বিক্রি হচ্ছে তালশাঁস। বালুরঘাটে। —নিজস্ব চিত্র।

সোমবার ‌থেকেই এ বছরের বর্ষার মরসুম পুরোদস্তুর শুরু হয়ে গেল বলে জানালেন আবহাওয়াবিদরা। তাঁরা বলছেন, আজ বুধবার ও বৃহস্পতিবার কম বৃষ্টি হতে পারে। তার পর থেকেই কিন্তু ভারি বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে।

Advertisement

সিকিমের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের ডিরেক্টর গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘‘দু’তিন দিনের মধ্যেই ভারি বৃষ্টি নামবে। মৌসুমী বায়ু পুরোদস্তুর ঢুকে পড়ায় পাকাপাকি ভাবে বর্ষা এসে গিয়েছে।’’

মালদহে এ দিন বিকেলেই ভাল বৃষ্টি হয়। শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়িতে কালো মেঘের দেখা মিলছে। এ দিন তাপমাত্রা ৩৫-৩৭ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে দিনের বেলা। বাতাসে জলীয় বাস্পের পরিমাণ ছিল ১৮০ শতাংশের মতো। তা দেখেই আবাহাওয়াবিদেরা জানান, আকাশের কালো মেঘ জলে ভরে উঠছে।

Advertisement

এ দিন সাধারণ ধর্মঘটের জন্য রাস্তায় অবশ্য লোকজন সকালের দিকে কমই ছিল। হাঁসফাস করা গরমে ডাবের দোকান, ঠান্ডা পানীয় দোকানে ভিড় ছিল। হাতমুখ ঢেকে বাইক নিয়ে তরুণীদের কাজে যেতেও দেখা গিয়েছে। রাজনৈতিক উত্তাপ থাকলেও পাহাড়ের আবহাওয়া দিনভর মনোরম ছিল। হালকা ঠান্ডা ছাড়াও সন্ধ্যার পর কোথাও কোথাও ঝিরিঝির বৃষ্টি হয়েছে।

মালদহে এ দিন কখনও ৪০ ডিগ্রি। আবার কোনও দিন তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৪২ ডিগ্রিও। সপ্তাহ খানেক ধরে এমনই তাপমাত্রা ছিল মালদহে। ফলে তীব্র গরমে নাজেহাল হয়ে পড়েছিলেন মালদহবাসী। মঙ্গলবার সন্ধের বৃষ্টি স্বস্তি দিল সাধারণ মানুষকে। স্বস্তি ফিরলেও মুষলধারে বৃষ্টিতে নাজেহাল হতে হল।

মালদহের ইংরেজবাজার শহরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ও বাজার জলমগ্ন হয়ে যায়। ফলে ইদের বাজার কিছুটা হলেও মার খায়। এ দিন সন্ধ্যা সাতটা থেকে আটটা পর্যন্ত তুমুল বৃষ্টি হয়।

জানা গিয়েছে, ঘণ্টা খানেকের বৃষ্টিতে এ দিন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন পুরবাজার, ঝলঝলিয়া বাজার প্রায় হাঁটু সমান জল জমে যায়। বিপাকে পড়েন ব্যবসায়ীরা। শুধু বাজারই নয়, শহরের বিএস রোড, ফুলবাড়ি রোড, মহিলা কলেজ রোড সহ বিভিন্ন এলাকায় জল জমে যায়।

নিকাশি নালা বেহাল থাকার জেরে জল নামতে সময় লেগে যায়। ফলে নিকাশি নালার নোংরা জল সাধারণ মানুষের বাড়িতে ঢুকে যাওয়ায় বিপাকে পড়তে হয়। পুরসভার চেয়ারম্যান নীহার রঞ্জন ঘোষ বলেন, প্রবল বৃষ্টি হওয়ায় জল নামতে সময় লাগছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন