পাহাড়ে বন্‌ধ হচ্ছে না, সিদ্ধান্ত মোর্চার

অবশেষে বন্‌ধের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। পাহাড়ের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে লেপচা ভাষার পার্শ্বশিক্ষক নিয়োগ করা নিয়ে গত মাসের শুরু থেকেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে মোর্চার সংঘাতের পরিবেশ তৈরি হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নিজস্ব সংবাদদাতা, দার্জিলিং শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০১৫ ০২:২১
Share:

অবশেষে বন্‌ধের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা।

Advertisement

পাহাড়ের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে লেপচা ভাষার পার্শ্বশিক্ষক নিয়োগ করা নিয়ে গত মাসের শুরু থেকেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে মোর্চার সংঘাতের পরিবেশ তৈরি হয়। শিক্ষা জিটিএ-র অর্ন্তভুক্ত বিষয় হলেও, রাজ্য সরকার ত্রিপাক্ষিক চুক্তি না মেনে সরাসরি শিক্ষক নিয়োগ করছে বলে অভিযোগ তোলে মোর্চা। কলকাতা হাইকোর্টে এ নিয়ে মামলাও দায়ের করেন জিটিএ-এর এক সদস্য। সেই মামলার শুনানি এখনও হয়নি বলে মোর্চার তরফে জানানো হয়েছে। তাঁদের আপত্তি সত্ত্বেও জেলা প্রশাসন পার্শ্ব শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা নেওয়ায় দার্জিলিং বন্‌ধের ডাক দেয় মোর্চা।

প্রথমে গত ২ এপ্রিল বন্‌ধ ডাকার কথা ঘোষণা করা হলেও, পর দিন গুড-ফ্রাইডে থাকায় আগামী ১০ এপ্রিলে বন্‌ধ পিছিয়ে দেওয়া হয়। বুধবার মোর্চার তরফে, শুক্রবারের ওই বন্‌ধ প্রত্যাহারের ঘোষণা করা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টে যেহেতু তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা চলছে, সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া বলে জানানো হয় মোর্চার তরফে। দলের সভাপতি তথা জিটিএ-এর চিফ বিমল গুরুঙ্গ এ দিন জানিয়েছেন, বিষয়টি বিচারাধীন হওয়ায় আপাতত বন্‌ধের ঘোষণা থেকে সরে আসা হয়েছে।

Advertisement

যদিও মোর্চার অন্দরের খবর, পর্যটনের মরসুমে বন্‌ধ ডেকে ঘরে-বাইরে চাপে পড়েই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হয়েছে। গত বছরই মোর্চার তরফে পাহাড়ে আর বন্‌ধ ডাকা হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই প্রেক্ষিতে ফের বন্‌ধ ডাকার সিদ্ধান্তে দলের নেতাদের একাংশ আপত্তি তুলেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

সেই সঙ্গে হাইকোর্টে নালিশ জানানোর পরেও, বন্‌ধের সিদ্ধান্তে অনড় থাকলে ভুল বার্তা যেত বলেও দলের নেতৃত্ব মনে করেন। এ সব বিষয়ে আলোচনার পরেই বন্‌ধ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে মোর্চা সূত্রের খবর। এ দিন কালিম্পঙে এক সভায় গুরুঙ্গ বলেন, ‘‘হাইকোর্টে এখনও মামলাটির শুনানি হয়নি। হাইকোর্ট থেকে সদর্থক নির্দেশ না পেলে আমরা সুপ্রিম কোর্টে যাব।’’ আগামী শুক্রবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি পরীক্ষা রয়েছে, বন্‌ধ প্রত্যাহারের সেটিও একটি কারণ বলে মোর্চা সূত্রে দাবি করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের নির্দেশেই গত ১৭ মার্চ পার্শ্বশিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। নিয়োগের প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় মোর্চা নেতৃত্ব। জিটিএ-র সদস্য পেম্বা শেরিং ওলা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন। এ দিন তিনি জানিয়েছেন, আজ বৃহস্পতিবার মামলাটির শুনানি হতে পারে। তাঁর কথায়, ‘‘নানা কারণে মামলাটির শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে। মামলা নিয়ে আমরা আশাবাদী।’’ এর আগেও চুক্তির খেলাফ করে জিটিএ-কে এড়িয়ে পাহাড়ে রাস্তা তৈরি এবং অনগ্রসর কল্যাণ খাতে উন্নয়নের টাকা সরাসরি জেলা প্রশাসনকে বরাদ্দ করার অভিযোগে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিল মোর্চা। মামলা দু’টি এখনও চলছে বলে জানা গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন