উন্নয়নে ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করলেন সাংসদ

বৈঠকে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে সাংসদকে একাধিক দাবি সম্বলিত দাবিপত্র তুলে দেওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চ্যাংরাবান্ধা শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:২৭
Share:

সরেজমিন: চ্যাংরাবান্ধা স্থল বন্দর ঘুরে দেখলেন সাংসদ জয়ন্ত রায়। রবিবার। নিজস্ব চিত্র

চ্যাংরাবান্ধা স্থল বন্দরের পরিকাঠামো উন্নয়নে জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ জয়ন্ত রায়ের দ্বারস্থ হল চ্যাংরাবান্ধা এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন।

Advertisement

রবিবার অতিথি নিবাসে সংগঠনের পক্ষ থেকে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক ও জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ জয়ন্ত রায়কে সংবর্ধনা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দিল্লি চলে যাওয়ায় সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক এ দিন আসেননি। তবে সাংসদ জয়ন্ত রায় এ দিন দুপুরে চ্যাংরাবান্ধা জিরো পয়েন্ট এলাকা ঘুরে দেখেন। পরে সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

বৈঠকে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে সাংসদকে একাধিক দাবি সম্বলিত দাবিপত্র তুলে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে সাংসদ বলেন, ‘‘রাজ্যের অন্যান্য স্থল বন্দরের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও চ্যাংরাবান্ধায় তেমন উন্নয়ন হয়নি।’’ ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে পরিকাঠামোগত ঘাটতির কথাও তাঁকে জানান ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া নিউ চ্যাংরাবান্ধা স্টেশনে পদাতিক এক্সপ্রেসের স্টপের দাবির করেন তাঁরা। সাংসদ ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করে চ্যাংরাবান্ধা স্থল বন্দরের পরিকাঠামো উন্নয়নের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানান। রেলের বিষয়ে রেলমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলবেন বলে সাংসদ এ দিন জানিয়েছেন।

Advertisement

এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিমল ঘোষ বলেন, ‘‘আমরা শুনেছি, কেন্দ্রীয় সরকার চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত বাণিজ্য কেন্দ্রের উন্নয়নে ৪১২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।’’ সেই টাকায় কাজ কবে থেকে শুরু হবে, কী কাজ হবে তা জানতে এবং তাঁদের সমস্যার কথা সাংসদকে জানাতেই এ দিন বৈঠকটি হয়।

স্থানীয় জন প্রতিনিধি সুনির্মল গুহ বলেন, ‘‘২০০৮ সালে কেন্দ্রের বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী জয়রাম রমেশ চ্যাংরাবান্ধায় এসে স্থল বন্দরের উন্নয়নের কাজ শুরুর আশ্বাস দেন। ২০১৩ সালে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমও সেই আশ্বাস দেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। অথচ রেভিনিউ কালেকশনের দিক থেকে রাজ্যে দ্বিতীয় এই স্থল বন্দর।’’ সে কারণে বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকার যে আশ্বাস দিয়েছে, তা দ্রুত বাস্তবায়িত হোক এটাই তিনি চান।

এ দিনের বৈঠকে অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিমল ঘোষ, সভাপতি মূলচাঁদ বুচ্চা, সহ সভাপতি ভরতপ্রসাদ গুপ্তা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন