Theft

কোচবিহারের হাসপাতালে চোরেদের উপদ্রব, অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ এমআরআই

হাসপাতাল চত্বরে নিরাপত্তারক্ষী ছাড়াও পুলিশি প্রহরা রয়েছে। তা সত্ত্বেও একের পর এক চুরির ঘটনায় ক্ষুব্ধ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০২১ ২৩:২২
Share:

—নিজস্ব চিত্র।

চোরেদের উপদ্রবে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করতে হল হাসপাতালের এমআরআই বিভাগ। এমনটাই ঘটেছে কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। করোনা আবহে চিকিৎসা ব্যবস্থায় উপর এমনিতে চাপ বেড়েছে। তার উপর চোরেদের উপদ্রবে ব্যাহত হচ্ছে ওই হাসপাতালের পরিষেবা। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে সে অভিযোগ অস্বীকার করে চুরির ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

হাসপাতাল সূত্রে খবর, সোমবার রাতে এমআরআই বিভাগে এসি মেশিনের তার চুরি হয়েছে। যার জেরে মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য এমআরআই পরিষেবা বন্ধ করতে বাধ্য হন কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট কাম ভাইস প্রিন্সিপ্যাল (এমএসভিপি) রাজীব প্রসাদ বলেন, “দিনের পর দিন হাসপাতালে চোরের উপদ্রব বেড়েই চলেছে। পুলিশ-প্রশাসনকে জানিয়েও চুরির কিনারা হচ্ছে না। বছরখানেকের মধ্যে ৭ বার এ ধরনের চুরি হল। এ ভাবে চলতে থাকলে হাসপাতালের পরিষেবা একে একে বন্ধ করতে হবে। আইসিইউ, মাতৃমা-র ওটি এবং মর্গের এসির তার চুরি হওয়ায় বেশ কিছুদিন কিছু পরিষেবা বন্ধ থাকবে।”

প্রসঙ্গত, কোচবিহারের ওই হাসপাতালে দিনে প্রায় ৪০টি করে এমআরআই হয়। হাসপাতাল চত্বরে নিরাপত্তারক্ষী ছাড়াও পুলিশি প্রহরা রয়েছে। তা সত্ত্বেও একের পর এক চুরির ঘটনায় ক্ষুব্ধ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ মানতে নারাজ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুমার সানি রাজ। তিনি বলেন, “পুলিশ চুরির কিনারা করতে পারছে না, এ অভিযোগ ঠিক নয়। কারণ এর আগেও হাসপাতালে চুরির ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। সোমবার রাতের চুরির ঘটনাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন