ভুয়ো বিল দেখিয়ে টাকা আত্মসাতে অভিযুক্ত পুরপ্রধান

ভুয়ো বিল দেখিয়ে প্রায় দু’কোটি সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল কোচবিহার পুরসভার চেয়ারপার্সন ও তাঁর ছেলে-সহ চার জনের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার কোতোয়ালি থানায় রেবা কুণ্ডু, তাঁর ছেলে কাউন্সিলর শুভজিৎ কুণ্ডু, পুরসভার এক কার্যনির্বাহী আধিকারিক এবং হিসাবরক্ষকের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তির বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০১৬ ০২:৫৫
Share:

রেবা কুণ্ডু। নিজস্ব চিত্র।

ভুয়ো বিল দেখিয়ে প্রায় দু’কোটি সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল কোচবিহার পুরসভার চেয়ারপার্সন ও তাঁর ছেলে-সহ চার জনের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার কোতোয়ালি থানায় রেবা কুণ্ডু, তাঁর ছেলে কাউন্সিলর শুভজিৎ কুণ্ডু, পুরসভার এক কার্যনির্বাহী আধিকারিক এবং হিসাবরক্ষকের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তির বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Advertisement

কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল বলেন, “তদন্ত শুরু করা হয়েছে। আইন মেনে সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

রেবাদেবী ও শুভজিৎবাবুর অবশ্য দাবি, কোথাও কোনও অনিয়ম হয়নি। ভুয়ো বিলও দেখানো হয়নি। পুরসভা নিয়ম মেনে কাজ করেছে। শুভজিৎবাবু বলেন, “উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে মিথ্যে ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হয়েছে। আমাদের বদনাম ও হেনস্থা করার চেষ্টা চলছে।”

Advertisement

তিনি দাবি করেন, তাঁর বাবা বীরেনবাবু চেয়ারম্যান থাকার সময়ও তাঁর বিরুদ্ধে এমন মিথ্যে অভিযোগ আনা হয়।

মামলাটি দায়ের করেন সম্রাট কুণ্ডু। তিনি শুভজিৎবাবুদের বিরোধী গোষ্ঠীর তৃণমূল নেতা বলে পরিচিত অভিজিৎ দে ভৌমিকের আত্মীয়। এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৫ সালের নভেম্বর মাস থেকে ২০১৬ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত বেশ কয়েকটি কাজের নাম করে ওই টাকা তুলে নেওয়া হয়। ১২ নম্বর ওয়ার্ডে ব্যাংচাতড়া রেলগেটের কাছে একটি বিটুমিনাস রাস্তার জন্য ১৮ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়। ওই টাকা তুলে নিলেও কোনও কাজ হয়নি। একই ভাবে ভবানীগঞ্জ বাজারে বিশেষ ব্লক বসাতে বরাদ্দ ১ কোটি ১৮ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা কোনও কাজ না করেই তুলে নেওয়া হয় বলে দাবি। গাঁধীনগরে হরিজন কোয়ার্টার তৈরিতে ৪০ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

সম্রাটবাবুর বলেন, “সাধারণ মানুষ উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে দাঁড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেছি। তার পরেও ধামাচাপা দেওয়ার অনেক চেষ্টা হয়েছে।” তাঁর অভিযোগ, ওই তথ্য জানালেও পুলিশ মামলা করতে চায়নি।

পরে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হলে পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সরকারি টাকা আত্মসাৎ, প্রতারণা এবং ভুয়ো বিল পেশ করে টাকা তোলার মামলা দায়ের করে। এমন অভিযোগ ওঠায় অস্বস্তিতে পড়েছেন কোচবিহার জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের কোচবিহার জেলা সহ সভাপতি আব্দুল জলিল আহমেদ বলেন, “আমাদের কিছু বলার নেই। আইন আইনের পথে চলবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন