Durga Puja 2020

২৬ বছর ধরে পুজোর জোগাড়ে মকবুল

তিনি মকবুল হোসেন। ২৬ বছর ধরে পুজোর জোগাড়ের কাজে অবিচ্ছেদ্য এক মানুষ।

Advertisement

ময়নাগুড়ি

অর্জুন ভট্টাচার্য শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২০ ০৩:০৫
Share:

ভক্তি: মকবুল হোসেন। নিজস্ব চিত্র।

‘পুজোর ঘটগুলো ধুয়ে দাও না গো!’ ‘বলির চালকুমড়োটা একটু নিয়ে এসো না!’ যাঁকে উদ্দেশ্য করে বলা, তাঁকে ছাড়া ময়নাগুড়ি ফুটবল ময়দানের সর্বজনীন দুর্গাপুজোর কথা ভাবাই না।

Advertisement

তিনি মকবুল হোসেন। ২৬ বছর ধরে এই পুজোর জোগাড়ের কাজে অবিচ্ছেদ্য এক মানুষ। মকবুলও আনন্দ পান এই কাজে। গতবছর দুর্গার কাছে মকবুল মানত করেছিলেন, তাঁর বাড়ির গরুর দুধ যেন ভাল হয়। তাঁর কথায়, ‘‘মায়ের আশীর্বাদেই গরুর বাচ্চা হয়েছে। তাই এ বছর মহাষ্টমীতে গরুর দুধ পুজোয় দিয়েছি।’’

উদ্যোক্তাদের কথায়, ‘‘মকবুলের বয়স তখন ১৮-১৯ হবে। বাঁশ কেটে মকবুল বেড়া তৈরির কাজ করতেন। নিজে থেকেই এই পুজো মণ্ডপ চত্বর সাফাইয়ের কাজে এগিয়ে এসেছিলেন। সেই থেকে আজও ফি বছর পুজো শুরুর আগেই টেকাটুলি থেকে চলে আসেন পুজোর জোগাড়ে হাত লাগাতে।’’

Advertisement

পুজো কমিটির সম্পাদক ঝুলন দে বলেন, ‘‘১২৯ বছরের পুজো। অনেকেই এখানে মানত করেন। গতবছর মকবুলও মানত করেছিলেন। উনি তো আমাদেরই একজন।’’

উদ্যোক্তারা জানান, পুজোর আগেই মকবুল চলে আসেন। মণ্ডপ চত্বর সাফাই থেকে শুরু করে পুজোর উপকরণ সংগ্রহ— সব কাজই করেন তিনি। পুজোয় চালকুমড়ো বলি হয়। বাড়ির গাছের চালকুমড়ো আনেন মকবুল। তিনি বলেন, ‘‘আমার কাছে আল্লা ও ভগবানের মধ্যে কোনও তফাত নেই। যতদিন বেঁচে থাকব এই পুজোয় আমি থাকব।’’ এই পুজোর পুরোহিত নারু চক্রবর্তী বলেন, ‘‘মায়ের কাছে কোনও ভেদাভেদ নেই। সবাই মায়ের সন্তান।’’ নিজস্ব চিত্র

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন