—ফাইল চিত্র।
মঙ্গলবারও দাড়িভিটে গেলেন না জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা। সোমবার দুপুরে বাগডোগরায় নামার পরে ইসলামপুরে পৌঁছতে দেরি হয় যায়। তবে এ দিনও মানবাধিকার কমিশনের যে তিন প্রতিনিধি ইসলামপুরে এসেছেন, তাঁরা দাড়িভিট যাননি।
কবে তাঁরা যাবেন, তা-ও স্পষ্ট ভাবে জানাতে চাননি। তাঁরা জানিয়েছেন, ‘‘ইতিমধ্যেই প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শুরু করা হয়েছে। অনেকের সঙ্গে কথা বলে বয়ান নেওয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে যা জানানো সম্ভব জানানো হবে।’’
সোমবার সন্ধ্যায় মানবাধিকার কমিশনের ওই দলটি ইসলামপুরের মহকুমাশাসকের সঙ্গে দীর্ঘ ক্ষণ কথা বলেন। মহকুমাশাসক মণীশ মিশ্র বলেছেন, ‘‘রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের তরফে কোনও মামলার তদন্ত চললে কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশন সাধারণত হস্তক্ষেপ করে না। তা নিয়েই সংশয় তৈরি হয়েছিল। এই ক্ষেত্রে যে প্রতিনিধিরা এসেছেন, তাঁরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেই তদন্ত করছেন।’’ মঙ্গলবার সকাল থেকেই সমস্ত ব্যবস্থা মহকুমা প্রশাসনের তরফে করা হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে দেখা করেছেন এক ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটও। জানা গিয়েছে, পূর্ত দফতরের যে বাংলোয় তাঁরা রয়েছেন, সেখানে বসেই এলাকার বাসিন্দাদের বয়ান নথিভুক্ত করার কাজ শুরু করেছেন।
দাড়িভিট কাণ্ড নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে প্রথম যিনি অভিযোগ করেছিলেন সেই শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর সঙ্গে তাঁরা কথা বলেন। তিনি সন্ধ্যে পর্যন্ত সেখানেই ছিলেন। এদিন ঘটনায় আহত অষ্টম শ্রণির ছাত্র বাচ্চু শর্মার সঙ্গেও কথা বলেন মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা।