অনুষ্ঠান আয়োজনে নতুন ‘রাজবাড়ি’ কোচবিহারে

আরও একটি ‘রাজবাড়ি’ পাচ্ছে কোচবিহার! সৌজন্যে বন দফতর। শহরের এনএন পার্কে কোচবিহার রাজবাড়ির আদলে অনুষ্ঠান ভবন তৈরির পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছেন দফতর কর্তৃপক্ষ। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৮ ০৭:৩০
Share:

সজ্জিত: এই পার্কেই হবে নতুন ভবন। নিজস্ব চিত্র

আরও একটি ‘রাজবাড়ি’ পাচ্ছে কোচবিহার! সৌজন্যে বন দফতর। শহরের এনএন পার্কে কোচবিহার রাজবাড়ির আদলে অনুষ্ঠান ভবন তৈরির পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছেন দফতর কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে, মহালয়া পর্ব মেটার পরে ১০ অক্টোবর রাজবাড়ির আদলে পার্ক চত্বরের ফাঁকা জমিতে ওই ভবন তৈরির কাজের সূচনা হবে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ওই কাজের সূচনা করবেন বলে জানিয়েছেন বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন। বিনয়বাবু বলেন, “কোচবিহারজুড়ে রাজাদের নানা স্থাপত্য, নিদর্শন ছড়িয়ে রয়েছে। ওই ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখেই রাজবাড়ির আদলে অনুষ্ঠান ভবনটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে।”

বন দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে, কোচবিহার শহরের অন্যতম আকর্ষণ এনএন পার্ক। সেখানে প্রতিদিনই ভিড় করেন প্রচুর মানুষ। পর্যটক আকর্ষণ বাড়াতে ঝুলন্ত উদ্যানের মত নানা প্রকল্পও কিছুদিন আগে চালু করা হয়েছে। এ বার গাছ গাছালি সবুজ ঘেরা ওই পরিবেশে রাজবাড়ির আদলে ভবন করা হলে সেখানকার আকর্ষণ আরও বাড়বে। এমনকী এতে বাসিন্দা থেকে আগ্রহী সরকারি, বেসরকারি সংস্থা প্রাকৃতিক পরিবেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের সুযোগ পাবেন।’’ দফতরের এক আধিকারিক জানান, অনেকেই অনুষ্ঠান আয়োজনের আধুনিক ব্যবস্থা না থাকায় আক্ষেপের কথা বলতেন। রাজবাড়ির আদলে ভবনটি করা হলে সেই সুযোগ থাকবেনা। এতে আয়ও বাড়বে দফতরের।

Advertisement

দফতর সূত্রের খবর, পুরো প্রকল্পটির জন্য প্রাথমিকভাবে খরচ ধরা হয়েছে এক কোটি টাকা। বন দফতর ওই আর্থিক বরাদ্দের সবটাই বহন করবে। আগামী এক বছরের মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি ওই প্রকল্পের রূপরেখা চূড়ান্ত করার ব্যাপারে আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন বনমন্ত্রী। তার ভিত্তিতেই সোমবার ১০ অক্টোবর ভবনের কাজ শুরুর কথা জানান তিনি। কী কী অনুষ্ঠান আয়োজনের সুযোগ মিলতে পারে প্রস্তাবিত ওই ভবনটিতে? বনমন্ত্রী জানিয়েন, জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকী থেকে ছোটখাটো পারিবারিক, ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানের সঙ্গে সরকারি, বেসরকারি সংস্থার বৈঠক, সম্মেলন থেকে তাঁদের প্রতিনিধিদের রাত্রিবাসের মত ব্যবস্থা রাখার পরিকল্পনা নিয়ে এগোনোর রূপরেখা হয়েছে। এ ছাড়াও পার্কের আকর্ষণ বাড়াতে আরও কিছু প্রকল্প হবে।

যদিও বন দফতরের উদ্যোগে বিতর্কও দানা বাঁধছে। কোচবিহার হেরিটেজ সোসাইটির সম্পাদক অরূপজ্যোতি মজুমদার বলেন, “রাজবাড়ির আদলে ভবনের উদ্যোগ ভাল। কিন্তু পার্কের ফাঁকা জমিতে সবুজায়ন দরকার। তাই প্রস্তাবিত ওই ভবনটির নির্মাণ কাজের জন্য বিকল্প জায়গা দেখা হলেই বেশি ভাল হয়।” পরিবেশপ্রেমী সংস্থা ন্যাসগ্রুপের সম্পাদক অরূপ গুহ বলেন, “ওই পার্কে পর্যাপ্ত ফাঁকা জায়গা রয়েছে। দফতরের আয় বাড়াতে ভবনের দরকার আছে। আমাদের কোনও আপত্তি নেই। শব্দ নিয়ন্ত্রণে কড়া নজরদারির সঙ্গে সঙ্গে পার্ক, ভবনের সীমানা করা হলে সমস্যা হবে না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন