Nisith Pramanik

পঞ্চায়েত ভোটে নিহতের বাড়িতে নিশীথ

নিশীথ এ দিন চিরঞ্জিতের বাড়িতে গেলে তাঁর মা দুলালি ও বাবা নীরেন কার্জি দাবি করেন, হাতে কাজ না থাকায় টাকার বিনিময়ে তৃণমূলের পতাকা লাগাতে যান চিরঞ্জিৎ।

Advertisement

সুমন মণ্ডল 

দিনহাটা শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০২৩ ০৭:১০
Share:

ভোট-হিংসায় নিহত দলীয় কর্মীর বাড়িতে নিশীথ প্রামাণিক। বুধবার। নিজস্ব চিত্র

পঞ্চায়েত ভোটের দিন গুলিতে নিহত চিরঞ্জিৎ কার্জি ও আহত রাধিকা বর্মণের বাড়ি গেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তথা কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। বুধবার দুপুর ১২টা নাগাদ নিশীথ ওই দুই বাড়িতে যান। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে পাশে পেয়ে চিরঞ্জিতের মা দুলালি কার্জি দাবি করেন, তাঁর ছেলে কোনও দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল না। অথচ, ছেলের মৃত্যুর পরে রাজনীতির চেষ্টা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এ দিন দিনহাটা ভিলেজ ১ পঞ্চায়েতের ভাংনি এলাকায় গুলিবিদ্ধ রাধিকার বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গেও দেখা করেন। তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য দিল্লির এমসে পাঠানোর ব্যবস্থার কথাও বলেন। যদিও বিষয়টি নিয়ে নিশীথকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেতা তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ।

Advertisement

মন্ত্রী জানান, রাধিকার হৃৎপিণ্ডের পাশে গুলি লেগেছে। তা এখনও বেরোয়নি। উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। পরিবারের আর্থিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে তাঁকে আগামী দু’-এক দিনের মধ্যে দিল্লির এমসে নিয়ে যাওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘‘এখানে রাধিকার যতটুকু চিকিৎসা সম্ভব, হয়েছে। গুলি হৃৎপিণ্ডের দেওয়াল ঘেঁসে রয়েছে। এখানকার চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচারের ঝুঁকি নিতে পারেননি। দিল্লির এমসে যাতে চিকিৎসা হয়, চেষ্টা করছি।’’

নিশীথ এ দিন চিরঞ্জিতের বাড়িতে গেলে তাঁর মা দুলালি ও বাবা নীরেন কার্জি দাবি করেন, হাতে কাজ না থাকায় টাকার বিনিময়ে তৃণমূলের পতাকা লাগাতে যান চিরঞ্জিৎ। তখন কেউ ছবি তুলে রাখে। ছেলের মৃত্যুর পরে তা নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে। ছেলের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবি জানান তাঁরা।

Advertisement

পঞ্চায়েত ভোটের দিন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল দিনহাটা। গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল ভাংনি গ্রামের চিরঞ্জিতের। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ ওই বাড়িতে যান। বিজেপির তরফে তখন দাবি করা হয়েছিল, চিরঞ্জিৎ তাদের কর্মী। এ দিকে, পরে চিরঞ্জিতের তৃণমূলের পতাকা লাগানো ছবি সমাজ মাধ্যমে দিয়ে তৃণমূল দাবি করেছিল, চিরঞ্জিৎ তাদের কর্মী। চিরঞ্জিতের মা অবশ্য প্রথম থেকেই দাবি করেন, ছেলে কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন।

নিশীথ বলেন, ‘‘এই ঘটনায় রাজনীতি না নিয়ে এসে চিরঞ্জিতের পরিবারকে কী ভাবে সান্ত্বনা দেওয়া যায়, সকলের ভাবা উচিত। দোষীরা যাতে শাস্তি পায় ও এমন যাতে আর না হয়, দেখতে হবে।’’ পক্ষান্তরে, উদয়ন গুহ বলেন, ‘‘ভেটাগুড়ি থেকে দিনহাটা ভিলেজ ওয়ানের গ্রামে আসতে ১১ দিন লাগল। যেখানে আমরা ঘটনার দিনই সন্ধ্যায় চিরঞ্জিতের বাড়িতে পৌঁছই। কয়েক মাস বাদেই লোকসভা নির্বাচন। নতুন জোট যখন বিজেপির বিরুদ্ধে ক্রমে শক্তিশালী হচ্ছে, তখন লোক দেখাতে বিভিন্ন রকম প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে। এতে কিছু লাভ হবে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন