এনজেপি অবধি বিদ্যুৎ আসবে, আশা

ট্রেনের গতি বাড়ানো, জ্বালানি সঞ্চয়, সর্বোপরি আয় বাড়ানোর জন্য উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলে বিদ্যুদয়নের কাজ শুরু হয়। তা এনজেপি হয়ে গুয়াহাটি পর্যন্ত যাওয়ার কথা।

Advertisement

অনির্বাণ রায়

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৭ ০২:১৮
Share:

স্টেশনই নয়, নিউ জলপাইগুড়িতে জবরদখলের গেরোয় রেললাইনও। দখল না সরায় আটকে রয়েছে রেলের বিদ্যুদয়নের কাজ। বৃহস্পতিবারই নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন (এনজেপি) থেকে অবৈধ হকার উচ্ছেদ নিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজি ও রেল কর্তৃপক্ষকে নিয়ে বৈঠক করতে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তারপরেই বিদ্যুদয়নের কাজ শেষ হওয়া নিয়ে আশাবাদী রেলকর্তারা।

Advertisement

রেলের পূর্ব মধ্য ডিভিশন থেকে উত্তর পূর্ব সীমান্ত বিভাগ পর্যন্ত বিদ্যুদয়নের প্রস্তাব অনুযায়ী নয়াদিল্লি স্টেশন থেকে এনজেপির অদূরে রাঙাপানি পর্যন্ত ওভারহেড তার টানার কাজ হয়ে গিয়েছে। স্টেশন থেকে মাত্র ৭ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত কাজ কয়েক মাস ধরে বন্ধ। লাইনের দু’পাশে বস্তি এবং স্টেশনের প্ল্যাটফর্মগুলিতে দখলদারির জন্য তার টানা সম্ভব হচ্ছে না। স্টেশনের পাঁচটি প্ল্যাটফর্মে অন্তত ৮০টি অবৈধ নির্মাণ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

ট্রেনের গতি বাড়ানো, জ্বালানি সঞ্চয়, সর্বোপরি আয় বাড়ানোর জন্য উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলে বিদ্যুদয়নের কাজ শুরু হয়। তা এনজেপি হয়ে গুয়াহাটি পর্যন্ত যাওয়ার কথা। এর ফলে প্যাসেঞ্জার ট্রেনগুলিও ইলেকট্রিক ইঞ্জিন দিয়ে চালানো যাবে। উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে দিল্লি বা কলকাতাগামী দুরপাল্লার ট্রেনগুলিও বৈদ্যুতিক ইঞ্জিন দিয়ে চালালে রেলের খরচ অনেকটাই কমবে বলে দাবি। রেল কর্তৃপক্ষ জবরদখলের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। এনজেপির স্টেশন ডিরেক্টর পার্থসারথী শীলের কথায়, ‘‘প্ল্যাটফর্মে বিদ্যুতের স্তম্ভ বসাতে অনেক নির্মাণ ভাঙতে হবে।’’

Advertisement

কাজ আটকে থাকা কথা রেল অবশ্য সরাসরি স্বীকার করেনি। রেলকর্তাদের দাবি, কাজ চলছে ধীরগতিতে। দখলদারি সরাতে গেলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সে কারণে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে চিঠিও পাঠানো হয়েছে দার্জিলিং-জলপাইগুড়ি দুই জেলা প্রশাসনের কাছেই। কোনও তরফ থেকেই সাড়া না আসায় আপাতত বিদ্যুদয়নের কাজই থমকে। পার্থবাবু জানান, প্রশাসনের কাছে সাহায্য চেয়ে আরেকপ্রস্ত চিঠি পাঠানো হচ্ছে।

প্রশাসনের একাংশের পাল্টা দাবি, এতদিন ধরে রেলের মদতেই সব দখল বসেছে। তাই রেলকেই প্রথম পদক্ষেপ করতে হবে। জলপাইগুড়ি জেলার এক প্রশাসনিক কর্তার কথায়, ‘‘দখল সরাতে গেলে গোলমাল বাধলে দায় প্রথমে প্রশাসনের ওপরেই আসতে পারে। তাই রেল আগে পদক্ষেপ করলেই ভাল। ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে কী করণীয় জানতে চাওয়া হয়েছে।’’

এই চাপানউতোরেই থমকে বিদ্যুদয়নের কাজ। হাইকোর্টের রায়ের পরে তা মেটার অপেক্ষায় সকলেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন