উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল

মেঝেতে শয্যা, বিরক্ত এমসিআই

ওয়ার্ডের মেঝেতে শয্যা পেতে রাখা হয়েছে রোগীদের একাংশকে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এ দৃশ্য নতুন কিছু নয়। তবে মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিরা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় বিপাকে পড়েছেন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

সৌমিত্র কুণ্ডু

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:১৭
Share:

মেঝেতেই শুতে হয় রোগীদের। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

ওয়ার্ডের মেঝেতে শয্যা পেতে রাখা হয়েছে রোগীদের একাংশকে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এ দৃশ্য নতুন কিছু নয়। তবে মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিরা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় বিপাকে পড়েছেন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বুধবার এবং বৃহস্পতিবার দু’দিন ধরে এমসিআই এর তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল এই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। আগামী শিক্ষাবর্ষে ১৫০ আসনে ছাত্র ভর্তির পরিকাঠামো যথাযথ রয়েছে কি না সেটাই তাঁরা খতিয়ে দেখতে এসেছেন। চিকিৎসকদের একাংশের অনুপস্থিতিও তাদের নজরে এসেছে।

Advertisement

মেডিক্যালের একটি সূত্রের খবর, পরিকাঠামোর বিভিন্ন খামতির দিকগুলি তাঁরা জানিয়েছেন। রোগীদের মেঝেতে রাখার বিষয়টি ছাড়াও হাসপাতাল চত্বরে চারিদিকে আবর্জনা পড়ে থাকা নিয়েও কড়া সমালোচনা করেন ওই প্রতিনিধিরা। রোগীদের শয্যার চাদর, গায়ের কম্বল যে ভাবে পরিষ্কার করা হয় তা স্বাস্থ্য সম্মত নয় বলেও তাঁরা জানিয়েছেন। আইডি ওয়ার্ডের কাছে মাটিতে সেগুলি শুকোতে দেওয়া হয়। তাঁর উপর কুকুর উঠছে, গরু, ছাগল ঘুরে বেড়ায়। সেই সঙ্গে রোগীদের খাবার তৈরির জন্য রান্না ঘরের পরিচ্ছন্নতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, ৫৯৯ টি শয্যার অনুমোদন রয়েছে। তবে রোগী থাকেন গড়ে ১২০০। অনেক বাড়তি শয্যা দেওয়া হলেও সমস্যা মেটেনি। তবে বিষয়টি দেখা হচ্ছে বলে জানান, অধ্যক্ষ সমীর ঘোষ রায়। তিনি বলেন, ‘‘পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। চিকিৎসকরা যতজন অনুপস্থিত ছিলেন তা বিবেচনা করা হবে বলে আমরা আশাবাদী।’’

মেডিক্যাল কলেজের একটি সূত্র জানিয়েছে, চিকিৎসক, অধ্যাপকদের অনুপস্থিতি ছিল ১৩ শতাংশের মতো। পরিদর্শনের সময় চক্ষু বিভাগের প্রধান অনুপস্থিত ছিলেন। দাঁত, শল্য বিভাগ, ফরেনসিক বিভাগের মতো অনেক বিভাগেই চিকিৎসকদের একাংশ গড়হাজির ছিলেন। শিশু বিভাগের এক চিকিৎসকের পদোন্নতি নিয়েও তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন। পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স পড়ানো হওয়ায় যত সংখ্যক চিকিৎসক, অধ্যাপক থাকা দরকার তা নেই বলে কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০ শতাংশের নিচে চিকিৎসক, অধ্যাপকদের অনুপস্থিতি থাকলে তা বিবেচনা করা হয়। এ ক্ষেত্রে অনুপিস্থিতির হার ছিল বেশি। তাতে অনুমোদন পেতে সমস্যা হতে পারে। কর্তৃপক্ষ জানান, অনেক চিকিৎসক ছুটিতে। অনেকে আসেননি। সে সব নিয়ে সামান্য সমস্যা রয়েছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন