বাস নেই, অবরোধ ক্ষুব্ধ ভোটকর্মীদের

বুথে যাওয়ার গাড়ি না পেয়ে ক্ষুব্ধ ভোটকর্মীদের অবরোধে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ল রায়গঞ্জ এবং ধূপগুড়ির জনজীবন। অবরোধে যানজটে দুর্ভোগ পোহাতে হয় বাসিন্দাদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়গঞ্জ ও ধূপগুড়ি শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:০৯
Share:

রায়গঞ্জে অবরোধ। নিজস্ব চিত্র।

বুথে যাওয়ার গাড়ি না পেয়ে ক্ষুব্ধ ভোটকর্মীদের অবরোধে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ল রায়গঞ্জ এবং ধূপগুড়ির জনজীবন। অবরোধে যানজটে দুর্ভোগ পোহাতে হয় বাসিন্দাদের।

Advertisement

শনিবার সকালে ইসলামপুর যাওয়ার গাড়ি না পেয়ে সকাল ৮টা নাগাদ প্রায় ৬০ জন ভোটকর্মী উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের রায়গঞ্জ ডিপোর সামনের শহরের বিদ্রোহীমোড়-জেলখানামোড় রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। প্রায় ২০ মিনিট অবরোধ চলার পর প্রশাসনিক কর্তারা দুটি বাসের ব্যবস্থা করে দিলে তাঁরা সেগুলিতে চেপে ইসলামপুর রওনা হন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার ন’টি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোট পরিচালনার জন্য মোট ৯ হাজার ৬০০ জন সরকারি কর্মীকে ভোট নেওয়ার কাজে নিযুক্ত করেছে প্রশাসন। প্রশাসনের নির্দেশে এ দিন সকাল সাতটা নাগাদ রায়গঞ্জ, হেমতাবাদ, ইটাহার ও কালিয়াগঞ্জ ব্লকের প্রায় সাড়ে ৩০০ জন ভোটকর্মী ইসলামপুর কলেজে যাওয়ার জন্য বাস ধরতে রায়গঞ্জের পলিটেকনিক কলেজের ভোটসামগ্রী বিতরণ ও গ্রহণকেন্দ্রে সংলগ্ন স্টেডিয়াম মাঠে জড়ো হন। সাড়ে সাতটা নাগাদ একাধিক বাসে চেপে বেশিরভাগ ভোটকর্মী ইসলামপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গেলেও প্রায় ৬০ জন ভোটকর্মী বাস পাননি বলে অভিযোগ। এর পরেই ক্ষুব্ধ কর্মীরা অবরোধ শুরু করেন। রায়গঞ্জের মহকুমাশাসক থেন্ডুপ নামগেল শেরপার দাবি, ‘‘ভোটকর্মীদের ইসলামপুরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু ৬০ জন ভোটকর্মী দেরিতে আসায় ইসলামপুরগামী সমস্ত বাস ছেড়ে চলে গিয়েছিল। প্রশাসন পরে অতিরিক্ত আরও দুটি বাসের ব্যবস্থা করে বাকি ভোটকর্মীদের ইসলামপুরে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।’’

ধূপগুড়ি মোড়েও জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন ভোটকর্মীরা। মালবাজারে যাওয়ার জন্য সকাল সাড়ে পাঁচটা থেকে দু’ঘণ্টা কেটে গেলেও বাস না আসায় অবরোধে সামিল হন তাঁরা। বার বার ধূপগুড়ি বিডিও অফিসে ফোন করেও বাসের সঠিক সময় জানতে পারেননি ভোটকর্মীরা। প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ চলার সময় বাস এলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। ক্ষুব্ধ ভোটকর্মী জুলফিকার আলি ও সোমেন মজুমদার বলেন, “আমাদের কাছে নির্দেশ ছিল সকাল ছ’টায় ধূপগুড়ি থেকে বাস ছাড়বে। তাই আমরা সাড়ে পাঁচটায় ধূপগুড়ি চৌপথিতে পৌঁছে যাই। সকাল আটটার মধ্যে মালবাজারে পৌঁছনোর কথা বলা হয়েছিল। সকাল সাতটা পরেও বাস না আসায় প্রতিবাদে অবরোধ করতে বাধ্য হই।” যদিও, ধূপগুড়ির বিডিও শুভঙ্কর রায় বলেন, “অযৌক্তিক কারণে অবরোধ হয়েছে। একটুখানি অপেক্ষা করলেই বাস পাওয়া যেত।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন