উদ্যোগী জলপাইগুড়ির আনন্দচন্দ্র কলেজ

হেলমেট ছাড়া প্রবেশ নিষেধ কলেজেও

নো হেলমেট, নো এন্ট্রি! তবে কোনও পেট্রোল পাম্পে নয়, কলেজে। মোটরবাইকে কলেজে আসা পড়ুয়া-শিক্ষকদের হেলমেট পরাতে এ বার এমন ‘দাওয়াই’ দেবে জলপাইগুড়ির আনন্দচন্দ্র কলেজ৷

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০১৭ ০২:১৮
Share:

জলপাইগুড়ির আনন্দচন্দ্র কলেজের সামনে রাখা হয়েছে এমন ব্যানার। সোমবার যাঁরা হেলমেট পরে আসেননি তাঁদের মিষ্টিমুখ করিয়ে ‘গাঁধীগিরি’ করেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। নিজস্ব চিত্র

নো হেলমেট, নো এন্ট্রি! তবে কোনও পেট্রোল পাম্পে নয়, কলেজে।

Advertisement

মোটরবাইকে কলেজে আসা পড়ুয়া-শিক্ষকদের হেলমেট পরাতে এ বার এমন ‘দাওয়াই’ দেবে জলপাইগুড়ির আনন্দচন্দ্র কলেজ৷ হেলমেট ছাড়া বাইক বা স্কুটি চালিয়ে কেউ কলেজে এলে তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ৷ কলেজের গেটে ‘নো হেলমেট, নো এন্ট্রি’ লেখা বড় একটি ব্যানারও ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে৷

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত বছরই ‘সেফ ড্রাইভ সেফ লাইফ’ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছেন৷ তারপর থেকেই রাজ্যের অন্য জেলার মতোই জলপাইগুড়িতেও হেলমেট নিয়ে যথেষ্ট কড়া হয়েছিল পুলিশ৷ পেট্রোল পাম্পগুলিতেও ‘নো হেলমেট নো পেট্রোলের’ নিয়ম চালু হয়েছে৷ তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পাম্পগুলিতে এই নিয়ম খাতায়-কলমেই থেকে গিয়েছে বলে দেখা যায় শহরে ঘুরলেই৷ হেলমেট ছাড়াই অনায়াসে পেট্রোল নিয়ে চলে যান আরোহীরা। একদিকে নজরদারির অভাব, অন্যদিকে বাসিন্দাদের সচেতনতার অভাবেই এমনটা হচ্ছে বলে মনে করেন প্রশাসনের কর্তারাই।

Advertisement

এই পরিস্থিতিতে একটি কলেজের এমন উদ্যোগ প্রশংসনীয় বলেই দাবি পুলিশের৷ এক পুলিশ কর্তার মতে, ‘‘হেলমেট না পরে আসা আরোহীদের কলেজে ঢুকতে বাধা দেওয়া হলে বিতর্ক তৈরি হতে পারে। কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে এই নিয়ম অনেকটাই সাহায্য করবে৷’’ আনন্দচন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘‘দুর্ঘটনা কমাতে মুখ্যমন্ত্রী সেফ ড্রাইভ সেভ লাইভ কর্মসূচি নিয়েছেন৷ কিন্তু তারপরও দেখা যাচ্ছে অনেকে, বিশেষত উঠতি বয়সের কিছু-ছেলেমেয়ে হেলমেট ছাড়াই বাইক বা স্কুটি চালাচ্ছেন৷ এটা রুখতেই আমরা ঠিক করেছি, হেলমেট ছাড়া কেউ বাইকে এলে তাদের কলেজের ভেতর ঢুকতে দেওয়া হবে না৷ আমাদের বিশ্বাস এতে সচেতনতা বাড়বে৷’’ কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক দেবজিৎ সরকারও একে সমর্থন করছেন। তিনি বলেন, ‘‘ছাত্র-ছাত্রীরা, এমনকী শিক্ষকদেরও কেউ কেউ হেলমেট ছাড়াই বাইক চালিয়ে প্রতিদিন কলেজে আসছেন৷ কিন্তু এই নিয়মের ফলে তাঁরাও হেলমেট পরতে বাধ্য হবেন৷’’

সোমবার এই নিয়মের প্রথম দিন অবশ্য হেলমেটহীন বাইক আরোহীদের কলেজে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়নি৷ উল্টে গাঁধীগিরি করে কলেজ কর্তৃপক্ষ ও ছাত্র সংসদের সদস্যরা তাঁদের হাতে একটি করে মিষ্টির প্যাকেট ধরিয়ে হেলমেট পরার অনুরোধ করেছেন৷ কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আজ, মঙ্গলবার থেকে এই নিয়ম পুরোপুরি কার্যকর হবে৷

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন