বিশ্ব তামাক বর্জন দিবসে বালুরঘাটে পদযাত্রা। ছবি: অমিত মোহান্ত
প্রকাশ্যে ধূমপান নিষিদ্ধ হলো দক্ষিণ দিনাজপুরে।
কেন্দ্রের জাতীয় তামাক প্রতিরোধ কর্মসূচিকে সফল করতে দক্ষিণ দিনাজপুরকে দিয়েই পথচলা শুরু করল রাজ্য সরকার। ধূমপান-ফ্রি জোন জেলা হিসেবে তুলে ধরতে জেলা প্রশাসনের তরফে একাধিক উদ্যোগ ও কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিশ্ব তামাক বর্জন দিবসে জেলা জুড়ে ওই বার্তা দিতে বালুরঘাটে সচেতনতা পদযাত্রা হয়। এ দিন সকালে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের উদ্যোগে বালুরঘাট শহরে সচেতনতা-মিছিল শহর পরিক্রমা করে। ধূমপানের কুফল সম্পর্কে প্রচার করা হয়। পদযাত্রায় বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়া ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা সামিল ছিলেন।
এই কর্মসূচিকে সফল করতে জেলাশাসককে চেয়ারম্যান ও জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে নোডাল অফিসার করে ২২ জনের ডিস্ট্রিক্ট লেবেল কোঅর্ডিনেটর কমিটি গঠিত হয়েছে। কমিটিতে জেলা পুলিশ সুপার, আবগারি অফিসার, আইসিডিএস আধিকারিক, জেলা তথ্য সংস্কৃতি আধিকারিক সহ সব বিভাগের অফিসাররা রয়েছেন। ১৫ দিন অন্তর ওই কমিটি বসে কর্মসূচির গতি নিয়ে আলোচনা করবেন।
জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে বলেন, ‘‘এ দিন থেকে বালুরঘাট শহরে প্রকাশ্যে ধূমপান নিষিদ্ধ ঘোষণা হয়েছে। সেই সঙ্গে গুটকা, খৈনির মতো ক্ষতিকারক দ্রব্য প্রকাশ্যে সেবনের উপরও বিধিবদ্ধ সতর্কতা থাকবে।’’ আজ, বুধবার থেকে প্রকাশ্য ধূমপানের উপর নজরদারি শুরু হবে। ব্লক স্তরে বিডিওদের নেতৃত্বে পঞ্চায়েত প্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট অফিসারদের নিয়ে গঠিত কমিটি সচেতনতা প্রচার এবং নজরদারি চালাবেন। জেলার ৮টি ব্লকে ভ্রাম্যমান বিশেষ এনফোর্সমেন্ট স্কোয়াড তৈরি করে অভিযান চালানো হবে। প্রকাশ্য ধূমপানের জন্য ধরা পড়লে প্রাথমিকভাবে ২০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে বলে মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন। এনফোর্সমেন্ট স্কোয়াডের পাশাপাশি পুলিশও প্রকাশ্যে ধূমপানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থ্যা নেবে। স্কুল ও কলেজ চত্বরের পাশে সিগারেট, গুটকা, খৈনি বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হচ্ছে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, বুধবার থেকে সমস্ত সরকারি দফতর এবং পঞ্চায়েত, পুরসভা ও জেলাপরিষদ অফিসের ভিতরে ধূমপান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি বাসস্ট্যান্ড, বাজার, প্রেক্ষাগৃহ সহ জনবহুল এলাকায় ধূমপান করে ধরা পড়লেই জরিমানা করা হবে। স্কুল ও কলেজে দেওয়াল লিখন, লোকশিল্পীদের গান ও পথনাটকের মাধ্যমে ধূমপান বিরোধী প্রচারে যুক্ত করা হবে। অনুষ্ঠান, পোস্টার ও ফেস্টুনের মাধ্যমে সচেতনতার প্রচারের জন্য প্রথম দফায় কেন্দ্রীয় সরকার থেকে দেড় লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছে বলে মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন।