অবাধে: হেলমেট ছাড়াই মিলছে পেট্রোল। মালদহে। নিজস্ব চিত্র
আগের মতো পুলিশি ধরপাকড় নেই। কড়়াকড়ি কমেছে পেট্রোল পাম্পেও। সেই সুযোগে ফের বিনা হেলমেটে বাইক চালানোর প্রবণতা বাড়ছে মালদহ জেলায়। বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, খোদ ইংরেজবাজার শহরেই পুলিশের নাকের ডগায় হেলমেট ছাড়া বাইক চালানো হচ্ছে।
পাশাপাশি একটি মোটরবাইকে তিন থেকে চারজন বসিয়ে চালানো হচ্ছে। যার জেরে বাড়ছে দুর্ঘটনাও। যদিও নিয়ম না মেনে বাইক চালানো নিয়ন্ত্রণ করতে ধরপাকড় করা হয় বলে দাবি জেলা পুলিশ কর্তাদের।
মালদহেও ‘সেফ ড্রাইভ সেফ লাইফ’-র প্রচার হয়েছিল পুরোদমে। পথ নিরাপত্তা সুরক্ষিত করতে ডিএসপি পদমর্যাদার আধিকারিকরা নিজেরাই রাস্তায় নেমে ধরপাকড় করেছিলেন। হেলমেট না থাকলে পাম্প থেকে পেট্রোল না দেওয়ার জন্য নির্দেশিকা জারি করেছিল প্রশাসন। জেলা জুড়ে পেট্রোল পাম্পগুলোতে ‘নো হেলমেট, নো পেট্রোল’ বোর্ডও ঝোলানো হয়েছিল। এখনও সেই বোর্ড ঝুলছে। কিন্তু নিয়মটাই মানা হচ্ছে না। গৌর রোডের এক পেট্রোল পাম্পের কর্মী বলেন, ‘‘আমি তেল না দিলে বাইক নিয়ে অন্য পাম্পে চলে যাচ্ছেন চালকেরা। লোকসানের আশঙ্কায় বাধ্য হয়েই বিনা হেলমেটেও তেল দিতে হচ্ছে।’’
এর আগে পুলিশ প্রশাসনের কড়া পদক্ষেপের কারণে জেলা জুড়ে হেলমেট কেনার হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু এখন ছবিটা সম্পূর্ণ উল্টো। জেলার শহর, গ্রামে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হেলমেটহীন বাইক আরোহীরা। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক, রাজ্য সড়কেও দেখা যাচ্ছে হেলমেটহীন বাইক আরোহীদের।
মাস ছ’য়েক আগেই পুরাতন মালদহের সেতু মোড়ে মোটরবাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল এক তরুণ ও এক তরুণীর। তাঁদের কারও মাথায় হেলমোট ছিল না। মাসখানেক আগেও পুকুরিয়াতে হেলমেটহীন বাইক চালকের মৃত্যু হয়েছিল। তারপরেও টনক নড়েনি জেলা পুলিশ কর্তাদের।
যদিও মালদহের ডিএসপি দিলীপ হাজরা বলেন, ‘‘আমাদের নিয়মিত অভিযান চালানো হয়।’’ শহরের বিভিন্ন মোড়ে চলছে চেকিং চালানো হচ্ছে বলে জানান তিনি। প্রয়োজনে আরও অভিযান চালানোর আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।