Malda

রোগ বাড়ছে পাঁচ রাজ্য যোগেই

প্রশাসনিক হিসেব অনুযায়ী, মালদহ জেলার করোনা আক্রান্তেরা বেশিরভাগই ভিন্ রাজ্য থেকে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিক।

Advertisement

জয়ন্ত সেন

মালদহ শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০২০ ০৪:৪৭
Share:

পরীক্ষা: রায়গঞ্জ পুরসভার উদ্যোগে করোনা মোকাবিলায় রবীন্দ্রপল্লিতে থার্মাল স্ক্যানার গান দিয়ে বাসিন্দাদের জ্বর মাপার কাজ চলছে। নিজস্ব চিত্র

করোনা-প্রবণ রাজ্যগুলি থেকেই বেশি সংখ্যায় পরিযায়ী শ্রমিক ফিরেছেন মালদহে। সব চেয়ে বেশি ফিরেছেন মহারাষ্ট্র থেকে— জেলার সরকারি পরিসংখ্যানে এমনই তথ্য উঠে এসেছে।

Advertisement

প্রশাসনিক হিসেব অনুযায়ী, মালদহ জেলার করোনা আক্রান্তেরা বেশিরভাগই ভিন্ রাজ্য থেকে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিক। জেলার চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্তাদের একাংশের বক্তব্য, করোনা-প্রবণ রাজ্য থেকে বেশি সংখ্যায় পরিযায়ী শ্রমিকেরা ফিরে আসাতেই মালদহে রোগীর নিরিখে এখন উত্তরবঙ্গে শীর্ষে পৌঁছেছে জেলা। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্ত ২৩১ জন।

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, এখনও ভিন্ রাজ্যগুলিতে মালদহ জেলার প্রচুর শ্রমিক আটকে রয়েছেন। তাঁরাও কয়েক দিনের মধ্যে বাস বা ট্রেনে ফিরতে পারেন। সে সব পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়েও জেলায় উদ্বেগ আরও বাড়ছে।

Advertisement

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০ মে থেকে মালদহের গৌড়কন্যা বাস টার্মিনাস এবং মালদহ রেল স্টেশনে ভিন্ রাজ্য থেকে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের নাম ও ফোন নম্বর নথিভুক্ত করা হচ্ছে। সেই হিসেব অনুযায়ী, ওই তারিখ থেকে বুধবার পর্যন্ত জেলায় ফিরেছেন ৩৮ হাজার ৪২০ জন। যদিও বেসরকারি মতে, সেই সংখ্যা লক্ষাধিক। সরকারি নথি অনুযায়ী, ঘরে ফেরা শ্রমিকদের বেশিরভাগই মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, গুজরাত, দিল্লি এবং মধ্যপ্রদেশ থেকে এসেছেন। সরকারি আধিকারিকদের একাংশের বক্তব্য, সেই পাঁচ করোনা-প্রবণ রাজ্য থেকে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকরাই বেশি আক্রান্ত।

বুধবার জেলায় নতুন করে আরও দু'জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দু’জনই পরিযায়ী শ্রমিক। বাড়ি চাঁচল ১ ব্লকে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে ২৬ বছরের এক যুবকের বাড়ি চাঁচল ১ ব্লকের বৈরগাছিতে। ৩১ মে তিনি মুম্বই থেকে ফেরেন ট্রেনে। চাঁচলের কর্মতীর্থ ভবনে সরকারি কোয়রান্টিনে ছিলেন। ৬ জুন তাঁকে বাড়িতে পাঠানো হয়। ৩ জুন সরকারি কোয়রান্টিনে থাকাকালীন তাঁর লালারসের নমুনা নেওয়া হয়েছিল। বুধবার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। ২৫ বছরের অন্য আক্রান্ত যুবকের বাড়ি চাঁচলেরই সিহিপুরে। তিনি ফিরেছিলেন উত্তরপ্রদেশ থেকে। তিনিও ১৪ দিন চাঁচল কর্মতীর্থ ভবনে সরকারি কোয়রান্টিনে ছিলেন। ৩ জুন তাঁরও লালারস নেওয়া হয়েছিল।

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভূষণ চক্রবর্তী বলেন, "আক্রান্ত দু’জনকে হরিশ্চন্দ্রপুর কোভিড কেয়ার সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন