Unknown fever

অজানা জ্বর বাড়ছে উত্তর দিনাজপুরে

আক্রান্তদের অনেকেই রায়গঞ্জ মেডিক্যাল-সহ জেলার নয়টি ব্লকের বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বহির্বিভাগে ভিড় করছেন। অনেকে চিকিৎসকদের পরামর্শে ভর্তিও হচ্ছেন।

Advertisement

গৌর আচার্য 

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:৩৭
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

উত্তর দিনাজপুর জেলায় ডেঙ্গি আবহে এ বার অজানা জ্বরের প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উদ্বেগ ছড়িয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতরে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, গত দু’সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন জেলায় গড়ে ৫০-৬০ জন জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। জ্বরে আক্রান্ত অধিকাংশ রোগীর রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া বা অন্য মশাবাহিত রোগের জীবাণু মিলছে না বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে দাবি।

Advertisement

আক্রান্তদের অনেকেই রায়গঞ্জ মেডিক্যাল-সহ জেলার নয়টি ব্লকের বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বহির্বিভাগে ভিড় করছেন। অনেকে চিকিৎসকদের পরামর্শে ভর্তিও হচ্ছেন। শুক্রবার পুরুষ ও মহিলা মিলিয়ে জেলার বিভিন্ন এলাকার ডেঙ্গি আক্রান্ত ১২ জন বাসিন্দা রায়গঞ্জ মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন। পাশাপাশি, এ দিন ২১ জন বাসিন্দা অজানা জ্বর নিয়ে মেডিক্যালে ভর্তি ছিলেন। এ দিনও মেডিক্যাল, ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতাল-সহ জেলার নয়টি ব্লকের বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বহির্বিভাগে জ্বরে আক্রান্ত কয়েকশো রোগীদের ভিড় উপচে পড়েছিল। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, জেলা জুড়ে চিকিৎসকদের পরামর্শে এ দিন জ্বরে আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগীর ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া-সহ বিভিন্ন রোগ নির্ণয়ের রক্ত পরীক্ষা করানো হয়েছে।

রায়গঞ্জ মেডিক্যালের সহকারী সুপার মৌমিতা আফরোজ বলেন, “জ্বরে আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগীর রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া-সহ কোনও রোগের জীবাণু মিলছে না। ফলে, অজানা জ্বর ধরে নিয়েই তাঁদের চিকিৎসা চলছে।” মেডিক্যালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক বিদ্যুৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, রোদ-বৃষ্টির জন্য তাপমাত্রা ওঠানামার জন্য ঘন ঘন আবহওয়া বদলের জেরে জেলা জুড়ে জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, সব মিলিয়ে এ বছরে এখনও পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা দু’শোর কাছাকাছি। তবে জেলায় বর্তমানে ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে স্বাস্থ্য দফতরের দাবি। এ দিন সকাল থেকে জেলা জুড়ে দফায় দফায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, জেলার বিভিন্ন এলাকায় জমা জলে ডেঙ্গির জীবাণুবহনকারী মশার বাড়ন্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পূরণকুমার শর্মার বক্তব্য, “ডেঙ্গি রুখতে জেলার ন’টি ব্লক ও চারটি পুর এলাকায় প্রশাসনের সহযোগিতায় জমা জল, আবর্জনা পরিষ্কার ও জলাশয় এবং নিকাশি নালায় ডেঙ্গির জীবাণু বহনকারী মশার লার্ভা মারতে কীটনাশক স্প্রে করার কাজে গতি বাড়ানো হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন