তৎপর: নিপা ভাইরাস নিয়ে বৈঠক কোচবিহারে। নিজস্ব চিত্র
কেরলে নিপা (এনআইভি) ভাইরাসের হানায় মৃত্যুর খবরে উদ্বেগ ছড়িয়েছে বাংলাতেও। রাজ্যের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য দফতর বিষয়টি নিয়ে ভাবছে। স্বাস্থ্য অধিকর্তার দফতর থেকে বিভিন্ন পরিকল্পনা নিচ্ছে।’’
কেরল থেকে আসা লোকজনকে পরীক্ষা করাও হচ্ছে গোয়াতে। এ রাজ্যে বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থার নার্সিংহোমগুলোতে কেরলের থেকে আসা প্রশিক্ষত নার্সরা বেশ ভাল সংখ্যায় কাজ করেন। উদ্বেগ তা নিয়েই। নার্সিংহোমগুলোকে সে ব্যাপারে নজররাখতে সতর্ক করতে উদ্যোগী রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। তা ছাড়া অনেকে কেরলে বিভিন্ন নির্মাণ সংস্থার হয়ে শ্রমিকের কাজে যান। তাদের রোগ বিষয়ে সতর্ক করা, সচেতন করা এবং পরীক্ষা করার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি সামনে এসেছে।
দার্জিলিং জেলা স্বাস্থ্য দফতরও। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য বলেন, ‘‘শহরের বিভিন্ন নার্সিংহোমগুলোকে এই ভাইরাসের সংক্রমণের সম্ভাবনা নিয়ে সচেতন করতে শুরু করা হয়েছে। আমরা নজর রাখছি।’’ শিলিগুড়ি-সহ রাজ্যে বিভিন্ন নার্সিংহোমগুলোর একাংশে কেরলের নার্সরা প্রচুর সংখ্যায় কাজ করছেন। সে কারণে কেরল থেকে আসা নার্স এবং লোকজনকে পরীক্ষা করার বিশেষ বিষয়টি ভাবছে স্বাস্থ্য দফতরের একাংশ।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান অরুণাভ সরকার জানান, বাদুড়ের লালা, মল, মূত্রে এই ভাইরাস থাকে। সে কারণে বাদুড়ের উৎপাত রয়েছে এমন এলাকার ফল, খেজুরের রস খাওয়া থেকে সর্তক হতে হবে।