প্রতীকী ছবি।
গত বছর রাসমেলায় কোচবিহারে এসে রাজাদের কুলদেবতা মদনমোহন দেবের মন্দিরে পুজো দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এ বার পুজোর মুখে মুখ্যমন্ত্রীর নামে মদনমোহন দেবের পুজো দেবেন রাজ পুরোহিত হীরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। আগামী সোমবার, ব্যক্তিগত উদ্যোগে মুখ্যমন্ত্রীর নামে সেই পুজো দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
হীরেন্দ্রনাথ বলেন, “গতবার রাসমেলায় মুখ্যমন্ত্রী মন্দিরে এসেছিলেন। পুজোও দিয়েছিলেন। এ বার উত্তরকন্যার অনুষ্ঠানে আমাকে তাঁর নামে পুজো দিতে বলেন। ব্যক্তিগত উদ্যোগে সোমবার পুজো দেব ভেবেছি।”
দেবোত্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন বোর্ডের তরফেও মুখ্যমন্ত্রীর নামে পুজো দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। দেবোত্তরের এক কর্তা জানিয়েছেন, সেই প্রস্তুতিও চলছে।
সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ ঘুরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক বৈঠক করেছেন উত্তরকন্যায়। সেখানে মদনমোহন মন্দিরের রাজ পুরোহিত হীরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের হাতে পুরোহিত ভাতার শংসাপত্র তুলে দেন। হীরেন্দ্রনাথ বলেন, “তখনই মুখ্যমন্ত্রী আমাকে পুজো দেওয়ার কথা বলেছিলেন। ফল, মিষ্টি, সন্দেশ দিয়ে ওই পুজো দেওয়ার কথা মোটামুটি ভাবে ঠিক করেছি।”
দেবোত্তরের এক কর্মী জয়ন্ত চক্রবর্তী বলেন, “হীরেন্দ্রবাবু সোমবার পুজো দেবেন বলে আমাদেরও জানিয়েছেন।” সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর নামে পুজো দেওয়ার প্রস্তুতিও শুরু করেছেন তিনি।
গতবার কোচবিহার মদনমোহন মন্দিরে এসে মুখ্যমন্ত্রীর পুজো দেওয়া নিয়ে সকাল থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। পুজোর ডালাও সাজিয়ে রাখা হয়েছিল। একটি ডালায় তাঁর গোত্র ‘শাণ্ডিল্য’ লেখা কাগজও রাখা হয়েছিল। পুজো দেওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য পুরোহিতকে তাঁর সঙ্গে ‘ মা-মাটি-মানুষের’ গোত্র উল্লেখ করে পুজো দিতে বলেন। রাসমেলার মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই সেকথা জানিয়েছিলেন।
তবে একটা আক্ষেপ নিয়ে হীরেন্দ্রনাথ বললেন, “প্রসাদটা পাঠাতে পারলে ভাল লাগত।”