দাবি বিরোধীদের

সীমান্তে উড়ছে অচল নোট

কোচবিহার বাংলাদেশ সীমান্তের বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকাতে ভোট কিনতে অচল পাঁচশো, হাজারের নোট বাজারে উড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন ছিটমহল আন্দোলনের নেতা তথা বর্তমানে বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য দীপ্তিমান সেনগুপ্ত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৬ ০২:৪২
Share:

ভোটকেন্দ্রের উদ্দেশে হাঁটা দিলেন কর্মীরা। — হিমাংশুরঞ্জন দেব

কোচবিহার বাংলাদেশ সীমান্তের বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকাতে ভোট কিনতে অচল পাঁচশো, হাজারের নোট বাজারে উড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন ছিটমহল আন্দোলনের নেতা তথা বর্তমানে বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য দীপ্তিমান সেনগুপ্ত। তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য টাকা বিলির অভিযোগকে আমল দিতে রাজি নন। তাঁদের দাবি, ভোট পাবে না বুঝে বিরোধীরা টাকার গল্প ফেঁদেছে। কোচবিহারের জেলাশাসক পি উল্গানাথন বলেন, “টাকা বিলির কোনও অভিযোগ পেলে আমরা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।”

Advertisement

দীপ্তিমানবাবুর দাবি, সাবেক ছিটমহলের ভোট কিনতে প্রচুর টাকা বিলি করা হচ্ছে। ভোটারদের বাড়ি গিয়ে গিয়ে অচল পাঁচশো, হাজারের নোট দেওয়া হচ্ছে। এক জনের হাতে ৩৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে বলেও তাঁর দাবি। তিনি বলেন, “অনেকেই ওই পাঁচশো, হাজারের নোট ব্যাঙ্কে জমা দিতে পারছেন না। তাই ওই নোট ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে গরিব মানুষের মধ্যে। অনেকেই আমার কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন।” তিনি দাবি করেন, নোট ছড়িয়েও তৃণমূল ভোট পাবে না। বিজেপির কোচবিহার লোকসভা উপনির্বাচনের প্রার্থী হেমচন্দ্র বর্মন অভিযোগ করেন, দিনহাটা ও মাথাভাঙায় নোট বিলির কারবার বেশি হচ্ছে। তিনি বলেন, “মানুষ এ বারে আগে থাকেই ঠিক করেছেন কোথায় ভোট দেবেন। তাই নোট ছড়িয়ে লাভ হবে না।” বাম নেতা অক্ষয় ঠাকুরও টাকা বিলির করে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে।

‘নোট ও ভোটের’ গল্প কোচবিহার জেলায় অনেক পুরনো। বাম আমলেও ভোটের সময় নোট ছড়ানোর অভিযোগ উঠত। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরেও ওই অভিযোগ ওঠতে থাকে। টাকা সহ নেতা, কর্মীদের ধরা পড়ার ঘটনাও ঘটেছে। এবারে পরিস্থিতি যদিও অন্যরকম। পাঁচশ ও হাজারের নোট অচল হওয়াতে ভোটের মুখে ফাঁপড়ে পড়েছেন অনেকেই। কেউই অবশ্য মুখে সে কথা স্বীকার করেন না। প্রতেকের দাবি, ভোট খরচের লেনদেন চেকে হয়েছে।

Advertisement

লোকসভা আসনে সব মিলিয়ে বুথের সংখ্যা হাজার দু’য়েক। ভোটের দিন একেকটি বুথে খরচ চালাতে দুই থেকে তিন হাজার টাকা স্থানীয় নেতাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ওই টাকাও অচল পাঁচশো, হাজার রয়েছে। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “যত দিন যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। বাংলার যা উন্নয়ন মুখ্যমন্ত্রী করেছেন তাতে সবাই অভিভূত। এই অবস্থায় কোচবিহার নির্বাচনে বিরোধীরা কোথাও জায়গা পাচ্ছে না। তাই ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন