শনিবার মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তার দেখাতে এসেছিলেন বৈষ্ণবনগরের বাসিন্দা সেলিলুদ্দিন শেখ। টিকিট কেটে অস্থিবিভাগে গিয়ে তিনি জানতে পারেন সেদিন বিভাগটাই বন্ধ। বাধ্য হয়ে ফিরে যেতে হয় তাঁকে। একই অভিজ্ঞতা হয়েছে যদুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা আরতি চৌধুরীরও।
রোগীদের অভিযোগ, শনিবার করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আউটডোরের একাধিক বিভাগ বন্ধ থাকছে। জেলা-সহ ভিন রাজ্যের একাধিক রোগীরা চিকিৎসা করাতে এসে ফিরে যাচ্ছেন। বাধ্য হয়ে অনেককে প্রাইভেট চেম্বারে গিয়ে চড়া ভিজিট দিয়ে ডাক্তার দেখাতে হচ্ছে বলে দাবি। যার ফলে বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে হচ্ছে। অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার খরচও বেশি পড়ে। এ নিয়ে রোগীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। অভিযোগ, দীর্ঘদিন থেকেই এই অব্যবস্থা হলেও কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোল নেই।
এ দিন ফিরে যাওয়ার সময় সেলিলুদ্দিন বলেন, ‘‘বাসভাড়া ও খাওয়া-দাওয়া মিলে একশো টাকার বেশি খরচ হয়ে গেল, কিন্তু ডাক্তার পেলাম না।’’ ডাক্তার না পেয়ে ক্ষুব্ধ আরতিদেবীও। তাঁর আক্ষেপ, ‘‘এভাবে টাকা খরচ করে কতদিন ডাক্তার দেখাতে আসব। গ্রামে ফিরে সেই হাতুড়ের কাছ থেকে ওষুধ নিতে হবে।’’ এ দিন চর্ম, মনোরোগ, ফিজিক্যাল মেডিসিন, বক্ষ, আকুপাংচার এমন অনেক বিভাগ বন্ধ ছিল বলে অভিযোগ। ন’তলা আউটডোর বিল্ডিংয়ের বিভিন্ন তলায় থাকা ওই বিভাগগুলিতে ডাক্তার না পেয়ে অসংখ্য রোগী ফিরে গিয়েছেন।
শনিবার আউটডোর বন্ধের খবর তাঁর কাছে নেই বলে জানাচ্ছেন হাসপাতালের সুপার অমিত দাঁ। তিনি বলেন, ‘‘খোঁজ নিচ্ছি, কেন বন্ধ ছিল।’’ অস্থি বিভাগের প্রধান দিলীপ মজুমদার বলেন, ‘‘এই বিভাগে ১০০ বেডের অনুপাতে ৭ জন চিকিৎসক রয়েছেন।’’
চারদিন আউটডোর চালানোর কথা থাকলেও পাঁচদিন বিভাগ চালানো হচ্ছে বলে তাঁর দাবি। শীঘ্রই শনিবারও বিভাগ চালুর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। একই আশ্বাস দিয়েছেন চর্ম বিভাগের প্রধান কৌশিক সোমও।