gazole

নিয়ম ভেঙেই নেওয়া হচ্ছে ধলতা, নালিশ

কৃষকদের আরও অভিযোগ, তাঁরা যে চটের বস্তায় ধান আনছেন, সে সবও নিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

গাজল শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২০ ০৬:১২
Share:

ধানের আর্দ্রতা মাপা হচ্ছে। নিজস্ব চিত্র

শলাইডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের হাটনগরডোবা গ্রামের রসময় হাজরা ৪২ কুইন্ট্যাল ধান ভুটভুটি করে নিয়ে এসেছিলেন ধান ক্রয়কেন্দ্রে। সেখানকার এক কর্মী মাপার যন্ত্রে সেই ধানে আর্দ্রতা পেলেন ১৭.৪ শতাংশ। আর্দ্রতা বেশি থাকায় রসময়ের কাছ থেকে কুইন্ট্যাল পিছু ৫ কিলোগ্রাম ৮০০ গ্রাম ধলতা নেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

Advertisement

শুধু রসময়ের কাছেই নয়, এ ভাবেই একাধিক চাষির কাছ থেকে কুইন্ট্যাল পিছু ৫ থেকে ৭ কিলোগ্রাম করে ধলতা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে গাজল কৃষক বাজারের সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয়কেন্দ্রে। তা নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে কৃষকদের মধ্যে। তাঁদের অভিযোগ, ধান বিক্রির ক্ষেত্রে ধলতা নেওয়ার নিয়ম প্রশাসনের ‘থ্রি-ম্যানস কমিটি’ ঠিক করে দিয়েছিল। কিন্তু তা ওই কেন্দ্রে মানা হচ্ছে না।

কৃষকদের আরও অভিযোগ, তাঁরা যে চটের বস্তায় ধান আনছেন, সে সবও নিয়ে নেওয়া হচ্ছে। বস্তা পিছু ২২ টাকা করে লোকসান হচ্ছে তাঁদের। কৃষকদের ধান মিল মালিকের ট্রাকে তুলতেও বস্তা পিছু ২ টাকা করে অতিরিক্ত নিচ্ছেন রাইস মিল নিযুক্ত শ্রমিকেরা। এ সবে ক্ষোভ ক্রমশ চড়ছে। কিন্তু তা নিয়ে প্রশাসনিক কোনও পদক্ষেপ নেই বলে অভিযোগ।

Advertisement

জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গাজল ব্লকে প্রায় ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে ধান উৎপাদন হয়। গাজল ব্লকে তিনটি কেন্দ্রে সহায়ক মূল্যে ধান কেনা হচ্ছে। গাজল কৃষক বাজারে রয়েছে দু’টি কেন্দ্র। মূল ধান ক্রয়কেন্দ্রে সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রির জন্য বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৩ হাজার ৫৯৭ জন কৃষক নাম নথিভুক্ত করেছেন। এখনও পর্যন্ত ওই কেন্দ্রে ধান কেনা হয়েছে ৩৮ হাজার ৯০ কুইন্টাল।

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ধান বিক্রির শুরুতে ধলতা নেওয়া নিয়ে কৃষকদের ক্ষোভে জেরে ব্লক স্তরের থ্রি-ম্যানস কমিটি একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তাতে বলা হয়, ধানে আর্দ্রতার পরিমাণ ১৭ শতাংশের নিচে থাকলে কুইন্ট্যাল পিছু ৪ কিলোগ্রাম, ১৭-১৮ শতাংশের মধ্যে থাকলে ৫ কিলোগ্রাম, ১৮-১৯ শতাংশের মধ্যে থাকলে ৬ কিলোগ্রাম এবং তার বেশি হলে থ্রি-ম্যানস কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে।

ওই কেন্দ্রের পার্চেজ অফিসার এ নিয়ে মন্তব্য করেননি। মালদহ জেলা রাইস মিল সংগঠনের সম্পাদক প্রফুল্ল ঘোষ বলেন, ‘‘ধলতার বিষয়টি থ্রি-ম্যানস কমিটির দেখার কথা। বাকি বিষয় দেখা হচ্ছে।’’ গাজল ব্লকের বিডিও তথা থ্রি-ম্যানস কমিটির সদস্য উষ্ণতা মোক্তান বলেন, ‘‘সহায়ক মূল্যে ধান কেনা নিয়ে এমন হওয়ার কথা নয়। সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন