লাউঞ্জ যেন ভরা হাট, হাঁসফাঁস বিমানযাত্রীরা

বাতানুকূল ব্যবস্থা খারাপ হওয়া এবং দুর্যোগের ফলে বিমান চলাচল ব্যাহত হওয়ায় দিনভর ভোগান্তি চলে যাত্রীদের। এর মধ্যে রয়েছেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবও। সোমবার কলকাতা থেকে তাঁর সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ বিমানে ওঠার কথা ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৭ ০২:৫০
Share:

—ফাইল চিত্র।

একে তো বাতানুকূল ব্যবস্থা বিগড়ে গিয়েছে। ফলে যাত্রীদের হাঁসফাঁস অবস্থা। তার উপরে কলকাতায় নামতে না পেরে বাগডোগরায় এসে পৌঁছে যাওয়া বিমানের যাত্রীদের ঠাঁই দিতে গিয়ে লাউঞ্জে ভিড় বেড়েছে। যাঁরা কলকাতায় যাবেন বলে অপেক্ষা করছিলেন, বিমান আসেনি বলে তাঁরাও চাদর বিছিয়ে বসে পড়েছেন এনক্লেভের ভিতরে।

Advertisement

সব মিলিয়ে সোমবার বাগ়ডোগরা যেন হাট। কফিশপ থেক রেস্তোরাঁ, কোথাও কোনও টেবিল ফাঁকা নেই। যাত্রীদের বসার জায়গায় তো তিল ঠাঁই নেই। এর মধ্যে বাতানুকূল ব্যবস্থা খারাপ হয়ে যাওয়া যাত্রীরা কাহিল হয়ে পড়েন।

দিল্লি, মুম্বই বা দেশের অন্য জায়গা থেকে কলকাতা ছুঁয়ে বাগডোগরায় আসার কথা ছিল আটটি বিমানের। এগুলির মধ্যে কয়েকটি অস্বাভাবিক দেরিতে চলেছে। কয়েকটি দুই বা চার ঘণ্টা দেরি করেছে। সবটাই কলকাতায় দিনভর দুর্যোগের জন্য। সে কারণে সেখানে নামতে না পেরে পটনা থেকে বাগডোগরায় চলে আসে আসে দু’টি বিমান।

Advertisement

বাতানুকূল ব্যবস্থা খারাপ হওয়া এবং দুর্যোগের ফলে বিমান চলাচল ব্যাহত হওয়ায় দিনভর ভোগান্তি চলে যাত্রীদের। এর মধ্যে রয়েছেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবও। সোমবার কলকাতা থেকে তাঁর সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ বিমানে ওঠার কথা ছিল। সেই বিমানও দেশের অন্যত্র থেকে কলকাতায় পৌঁছনোর কথা। কিন্তু সন্ধে ছ’টা অবধি তা কলকাতা থেকে বাগডোগরার উদ্দেশে উড়তেই পারেনি। গৌতম বলেন, ‘‘আবহাওয়ার কারণে কলকাতায় নামতে না পেরে বিমানটি রাঁচী চলে যায়। দুপুরের পরে সেটি কোনও ভাবে কলকাতায় নামে।’’ রাতে এই ধরনের বেশ কিছু বিমান আসতে পারে ধরে নিয়ে বাগডোগরা কর্তৃপক্ষও প্রস্তুত। বিমানবন্দরের অধিকর্তা রাকেশ সহায় পরে বলেন, ‘‘সব ক’টি বিমান অস্বাভাবিক দেরিতে চলেছে। তবে কোনও বিমানই বাতিল হয়নি। যাত্রীদের অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে।’’

এই অপেক্ষা করতে গিয়েই যে যাত্রীদের ভুগতে হয়েছে বাতানুকূল যন্ত্র ঠিক না হওয়ায়, তা-ও প্রকারান্তরে মেনে নেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। রাকেশ সহায় এই নিয়ে বলেন, ‘‘আমরা চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখছি না। কাজ চলছে। আশা করি দ্রুত সব পরিকাঠামো যথাযথ ভাবে গড়ে তোলা যাবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন