সোনা চেয়ে বিক্ষোভে গ্রাহকরা

এ দিন সকাল থেকে গ্রাহকরা দোতলায় উঠে চেঁচামেচি শুরু করেন। নিরাপত্তারক্ষীদের জামা ধরে টানাহেঁচড়া করেন বলে অভিযোগ। এনজেপির বাসিন্দা সুকন্যা কুর্মি বলেন, ‘‘সোনার নিরাপত্তা দেওয়ার কথা ছিল সংস্থার। তারা তা দিতে না পারলে এখন সোনা ফেরত দিক, না হলে সোনার মূল্যের টাকা ফেরত দিক।’’ ওই শাখায় প্রায় দেড় হাজার গ্রাহক রয়েছেন। বিক্ষুব্ধ গ্রাহকদের মধ্যে কয়েকজন শিলিগুড়ি শহরের সবকটি শাখা বন্ধ করে দেওয়ারও হুমকি দেন। কেন সংস্থার তরফে যথাযথ নিরাপত্তা রাখা হয়নি, তারও জবাব চান তাঁরা। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০১৯ ০৬:০০
Share:

সোনা ফেরতের দাবিতে গ্রাহকদের বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।

ডাকাতির পরে কেটে গিয়েছে ৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময়। এখনও হদিশ মেলেনি ডাকাতদের। ঘটনার গ্রেফতারও হয়নি কেউ। উদ্ধার হয়নি লুট হওয়া কোনও সামগ্রীও। এর জেরে বর্ধমান রোডে সোনা বন্ধক রেখে ঋণ প্রদানকারী সংস্থার সামনে এসে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রাহকরা। দু’দিন আগে সংস্থার এই অফিস থেকেই লুট হয়েছিল কয়েক কোটি টাকার সোনা।

Advertisement

সোমবার শাখায় এসে বিক্ষোভ দেখান গ্রাহকরা। তাঁরা দাবি করেন, হয় সোনা নয়তো জমা করা সোনার পুরো টাকা ফেরত দিতে হবে। আন্দোলনের জেরে সংস্থার আঞ্চলিক ম্যানেজার কুমার সুরেশ এসে গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি সামাল দেন। তিনি জানান, ১০ দিন অপেক্ষা করে পরের পদক্ষেপ করবে কর্তৃপক্ষ।

এ দিন সকাল থেকে গ্রাহকরা দোতলায় উঠে চেঁচামেচি শুরু করেন। নিরাপত্তারক্ষীদের জামা ধরে টানাহেঁচড়া করেন বলে অভিযোগ। এনজেপির বাসিন্দা সুকন্যা কুর্মি বলেন, ‘‘সোনার নিরাপত্তা দেওয়ার কথা ছিল সংস্থার। তারা তা দিতে না পারলে এখন সোনা ফেরত দিক, না হলে সোনার মূল্যের টাকা ফেরত দিক।’’ ওই শাখায় প্রায় দেড় হাজার গ্রাহক রয়েছেন। বিক্ষুব্ধ গ্রাহকদের মধ্যে কয়েকজন শিলিগুড়ি শহরের সবকটি শাখা বন্ধ করে দেওয়ারও হুমকি দেন। কেন সংস্থার তরফে যথাযথ নিরাপত্তা রাখা হয়নি, তারও জবাব চান তাঁরা।

Advertisement

পরে আঞ্চলিক ম্যানেজার বিক্ষুব্ধদের জানান, সংস্থার সঙ্গে গ্রাহকরা চুক্তিবদ্ধ রয়েছেন। চুক্তির শর্ত অনুসারেই টাকা ফেরত দেওয়া হবে। পুলিশের তদন্ত কোন পথে এগোয় তা আগামী ১০ দিন দেখে তারপর তা কার্যকর করা হবে। ঘটনার দিন দু’জনের বদলে একজন নিরাপত্তারক্ষী রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সুরেশ অবশ্য বলেন, ‘‘নিরাপত্তার কোনও খামতি ছিল না। চুক্তির শর্তে বলা রয়েছে, চুরি, ডাকাতি হলে হলে গয়নার সঙ্গে থাকা পাথর বাদ দিয়ে ঋণ গ্রহণের সময় যে পদ্ধতিতে সোনার মূল্যায়ন হয়েছিল, সেই হিসেবে ঘটনার দিনের দরে ২২ ক্যারাট সোনার মোট ওজনের টাকা পাবেন।’’ ডাকাতির সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে। কে বা কারা ওই ফুটেজ ছড়াল তা খতিয়ে দেখছেন পুলিশকর্তারা। এখনও কল ডাম্পিংয়ের কাজ শেষ হয়নি।

ডিসি ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তদন্ত চলছে। তবে এখনও বলার মতো জায়গায় আসেনি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement