শিলিগুড়ি রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ সোসাইটিতে কুমারী পুজো।—নিজস্ব চিত্র।
বৃষ্টির আশঙ্কায় রাখা ছিল বাড়তি ত্রিপল। আদতে তা কাজে লাগল চড়া রোদ আড়াল করতে।
রোদ যেন আগুন ঢালছে। গলে পড়ছে মুখের মেক আপ। নামাবলি গায়ে জড়ানো পুরোহিতও ঘেমে-নেয়ে তথৈবচ। রোদের তাপে অঞ্জলি দেওয়ার লাইনে দাঁড়িয়ে অসুস্থ হওয়ার উপক্রম। শেষে মণ্ডপের পেছনে রাখা ত্রিপল টাঙিয়ে রোদ ঠেকানোর পরে শুরু হল অঞ্জলি। অষ্টমীর সকালে এটাই জলপাইগুড়ির ছবি। দর্শনার্থীদের জন্য গ্লুকোজ-জলের ব্যবস্থা রেখেছিল শিলিগুড়ির একটি পুজো মণ্ডপ।
অষ্টমীর দুপুর ১টায় জলপাইগুড়ির তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি। ঘণ্টা দুয়েক পরে শিলিগুড়ির তাপমাত্রা ছিল ৩৯ ডিগ্রির আশপাশে। সপ্তাহখানেক আগে থেকে তোড়ে বৃষ্টির জেরে পুজোয় বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা ছিল উদ্যোক্তাদের। যদিও সপ্তমী থেকেই চড়া রোদ দেখা যায় উত্তরের বিভিন্ন জেলায়। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিমের আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘‘বৃষ্টি ভরা মেঘ টানতে হলে একটি নিন্মচাপ বলয়ের প্রয়োজন হয়। উত্তরবঙ্গের আকাশে এই মুহূর্তে নিম্নচাপ নেই।’’ উল্টে দক্ষিণবঙ্গের ওপর তৈরি নিম্নমচাপ উত্তরের আকাশ থেকে মেঘ টেনে নিয়েছে। শিলিগুড়ির পুজো উদ্যোক্তা কার্তিক মজুমদার বলেন, ‘‘এমন চড়া রোদে অষ্টমীর অঞ্জলি হচ্ছে আগে কখনও দেখেছি বলে মনে পড়ে না।’’