পথে: স্কুলের অনুমোদন বাতিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ইসলামপুর সরস্বতী বিদ্যামন্দিরের পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা। রবিবার বিকেলে ইসলামপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায়। নিজস্ব চিত্র
সরস্বতী বিদ্যামন্দির স্কুলের অনুমোদন বাতিলের প্রতিবাদে পথে নামলেন অভিভাবকেরা। এ দিন প্রথমে মহকুমাশাসকের দফতরের বিবেকানন্দ সভাগৃহের সামনে জেলার স্কুল পরিদর্শককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। পরে রাস্তায় নেমে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। ইসলামপুর থানার আইসি ও জেলার স্কুল পরিদর্শক এসে কথা বলেন। রাতের দিকে অবরোধ ওঠে। কিন্তু স্কুলের বিষয়ে আশ্বাস না মিললে বিক্ষোভ চলবে বলেই দাবি অভিভাবকদের।
নিয়মবহির্ভূত ভাবে ইসলামপুরের পরিবর্তে ‘ইশ্বরপুর’ লেখার অভিযোগে সরস্বতী বিদ্যামন্দিরের অনুমোদন বাতিল করে মধ্যশিক্ষা পর্যদ। তবে ছাত্রদের ভবিষ্যৎ যাতে নষ্ট না হয় তাই পঞ্চম থেকে অষ্টম পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের অন্য স্কুলে স্থানান্তরিত করার জন্য বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়েই একটি বৈঠক ডেকেছিলেন জেলা স্কুল পরিদর্শক। এমনকী, অভিভাবকদেরও বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়। এ দিন অভিভাবকেরা অনেকেই সেখানে যান। এমনকী, ওই স্কুলের প্রাইমারি স্তরের ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকেরাও সেখানে যান। মহকুমাশাসক দফতরের ডিআইকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। সেখানে কোনও সদুত্তর না পেয়ে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলের অনুমোদন বিনা নোটিসে বাতিল করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বৈঠকের কথা বলেও কেন বিষয়টি নিয়েই ডিআই কোনও জায়গার ব্যবস্থা রাখল না। এমনকী, অন্যত্র বসার কথা বলা হলেও ডিআই তা বসেননি বলেই অভিযোগ। যদিও এদিন বিকেল ৪টে নাগাদ অবরোধ শুরু হয়। ঘটনার খবর পেয়ে আইসি ও পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। রাত ৮টার পরে অবরোধ ওঠে। এই বিষয়ে জেলার ভারপ্রাপ্ত পরিদর্শককে সুজিতকুমার মাইতির কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি কিছুই জানাতে চাননি।
অভিভাবকদের দাবি, স্কুলটি একটি নিয়মানুবর্তিতার মধ্য দিয়েই চলে। সেখানে সামান্য কারণ দেখিয়ে অনুমোদন বাতিল করে দেওয়া অর্থহীন। ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়েই ছেলেখেলা করছে প্রশাসন।