প্রতীকী চিত্র
এক জন্তুর পায়ের ছাপকে ঘিরে বাঘের আতঙ্ক ছড়াল শিলিগুড়ি শহরের কলেজপাড়ায়। মঙ্গলবার সকালে শিলিগুড়ি কলেজ লাগোয়া একটি বাড়ির নৈশপ্রহরী বাঘ দেখেছেন বলে দাবি করেন। সেই কথা ছড়িয়ে যায় ওই এলাকায়। আতঙ্ক ছড়ায় কলেজপাড়া, সুভাষপল্লি ও রবীন্দ্রনগরেও। ওই বাড়িটি থেকে কিছু দূরেই রয়েছে রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবের বাড়ি।
বন দফতরের শালুগাড়া রেঞ্জের অফিসার, কর্মীরা এসে পায়ের ছাপ পরীক্ষা করেন। তাঁরা জানান, বাঘ নয়, পায়ের ছাপগুলো সিভেট ক্যাট বা ভামের। মন্ত্রী গৌতমবাবু বলেন, ‘‘খবরটা শুনে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি। পরে শুনলাম, বেড়াল জাতীয় কিছু। আগে তো বাড়ির কাছে চিতাবাঘ এসেছিল। বন দফতর বিষয়টি দেখছে।’’
বনকর্মীরা জানান, একটি বড় আকৃতির ভাম বা গন্ধগোকুলের গায়ে ছোপ ছোপ দাগ থাকে। লেজও মোটা হয়। অন্ধকারে ভাম দেখেই নৈশপ্রহরী সম্ভবত বাঘ বলে ভেবেছেন বলে সন্দেহ বনকর্মীদের। বসতি এলাকা হওয়ায় বাঘ বা চিতাবাঘ ঢুকে পড়লেও সকালে আলো ফুটতেই সেটিকে কোথাও না কোথায় দেখা যেত। যেমন, কয়েক বছর আগে পূর্ব বিবেকানন্দপল্লির শান্তিমোড় এলাকায় ভোরে চিতাবাঘ ঢুকে পড়েছিল। পরে একটি বাড়িতে সেটিকে দেখতে পাওয়া যায়। বৈকুণ্ঠপুর বনবিভাগের ডিএফও উমারানি এন বলেন, ‘‘পায়ের ছাপগুলি সিভেট ক্যাটের। একে ভাম বা খটাশও বলা হয়।’’
কলেজের দিক থেকে সুভাষপল্লি যাওয়ার রাস্তায় ডানদিকের গলিতে ওই বাড়ি। সেখানকার নৈশপ্রহরী রবি দাস বলেন, ‘‘রাত আড়াইটা নাগাদ শৌচালয়ে গিয়েছিলান। হঠাৎ গেটের গাছে লম্বা, ডোরাকাটা জন্তুটিকে দেখি। দৌড়ে এ দিক থেকে ওদিকে যাচ্ছিল। আমার বাঘই মনে হয়েছে।’’ বাড়ির নীচেই থাকেন ওই বাড়ির গাড়িচালক। তাঁকেও ডাকেন রবি। বাড়িটির সামনে কাদা-জলে পায়ের ছাপগুলো ছিল। সিসিটিভি থাকলেও পরে দেখা যায়, তাতে যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য রেকর্ড হয়নি।
বনকর্মীদের একাংশ জানান, নিশাচর এই জন্তটির সংখ্যা কমছে। এ দিকে বন দফতর ভাম বললেও আতঙ্ক কাটেনি কলেজপাড়ায়।