জট: একাধিক মিছিলে যানজটে ভোগান্তি শহরবাসীর। চলছে মিছিল। আটকে রয়েছে গাড়ি। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক
সপ্তাহের প্রথম দিনেই যানজটে ভুগল শিলিগুড়ি। সোমবার প্রায় সারাদিন ধরেই শহরের নানা জায়গায় একাধিক মিছিল হয়েছে তৃণমূলের। মিছিল ছিল বামেদেরও। আর এই কারণেই এ দিন বিকেল থেকে সন্ধে পর্যন্ত যানজটে ভুগল শহরবাসী। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন বেলা দু’টো থেকেই শহর ও লাগোয়া এলাকায় ছোট মাপের মিছিল বের হয়।
সোমবার দুপুরে ভক্তিনগর থানার চেক পোস্ট থেকে তৃণমূলের একটি মিছিল শুরু হয়। যার ফলে, সেবক রোড, বিধান রোডে যানজট তীব্র হয়। আটকে পড়ে বহু গাড়ি। পিসি মিত্তল বাসস্ট্যান্ডের কাছে কিছু গাড়ি উল্টো দিকের লেনে ঢুকে গেলে যানজট আরও বেড়ে যায়। ওই যানজটে আটকে পড়ে একটি অ্যাম্বুল্যান্সও। যদিও পরে সেই গাড়িটিকে বেরিয়ে যাওয়ার রাস্তা করে দিয়েছেন মিছিলের কর্মীরাই।
বেলা ৩টায় এনজেপিতে তৃণমূলেরই দু’টি মিছিল হয়। কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের সামনে থেকে মিছিলের নেতৃত্ব দেন পুরসভার বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার ও বেদব্রত দত্ত। সেই মিছিল যায় এয়ারভিউ মোড় পর্যন্ত। সেখান থেকে রঞ্জন যান প্রধাননগর এলাকায়। সেখানে একটি বড় মাপের মিছিল করেন। সোমবার তার আগেই দীপক শীল, দিলীপ বর্মনদের নেতৃত্বে জংশন ট্রাফিক গার্ডের সামনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কুশপুতুল পুড়িয়ে মিছিল করে প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল। প্রধাননগরে অল্প সময়ের ব্যবধানে তৃণমূলের দু’টি মিছিল হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেক কর্মীই। যদিও আরেকটি অংশের দাবি, আগে মিছিল হয়নি, মূলত প্রতিবাদ জানাতে কুশপুতুল পোড়ানো হয়।
এই বিষয়ে তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা কোর কমিটির সদস্য রঞ্জন সরকার বলেন, ‘‘তেমন দ্বন্দ্বের বিষয় নয়। প্রতিটি ব্লকেই মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। একেকটি জায়গায় ছোট মাপের মিছিল হয়েছে। সব মিলিয়ে ১১টি মিছিল হয়েছে শহরে।’’
বেলা ২টে থেকে ৪টের মধ্যে শহরের চারদিকে এত মিছিল হওয়ায় যানজটে জেরবার হয়েছেন শহরবাসী। হাসমিচক থেকে এনজেপি, চেক পোস্ট থেকে পানিট্যাঙ্কি মোড়, মাল্লাগুড়ি থেকে মহাবীরস্থান, সব জায়গাতেই যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, কোথাও রাস্তা বন্ধ করে মিছিল হয়নি। রাস্তার এক ধার দিয়ে মিছিল গিয়েছে বলে যানজট বড় আকার নেয়নি বলে পুলিশের দাবি। সোমবারই বিকেলে মিছিল করে বামেরা। এ দিন বিকেলে দলীয় অফিস থেকে এয়ারভিউ মোড় হয়ে ফের অফিসে ফিরে আসে বামের মিছিলটি।