এক দিকে অভিযান, অন্য দিকে প্লাস্টিক বিক্রি অবাধে

বাজারের এক দিকে পুরকর্মীরা প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগের বিরুদ্ধে অভিযান করছেন, আর অন্য দিকে ব্যবসায়ীদের একাংশ প্রকাশ্যেই তা খদ্দেরদের দিচ্ছেন। বুধবার শিলিগুড়ি বিধানমার্কেটে এমনই চিত্র দেখা গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০১৬ ০২:৩৭
Share:

বাজারের এক দিকে পুরকর্মীরা প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগের বিরুদ্ধে অভিযান করছেন, আর অন্য দিকে ব্যবসায়ীদের একাংশ প্রকাশ্যেই তা খদ্দেরদের দিচ্ছেন। বুধবার শিলিগুড়ি বিধানমার্কেটে এমনই চিত্র দেখা গিয়েছে। বিধানমার্কেটের মাছ, মাংসের বাজারে ব্যবসায়ীদের একাংশ প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ দিচ্ছেন অভিযোগ পেয়ে পুর কর্মীরা কথা বলতে গেলে তাঁরা হইচই করেন। কেন যেখান থেকে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ সরবরাহ হচ্ছে তাদের ধরা হচ্ছে না জবাব চান। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে কেন এভাবে অভিযান করা হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা সরব হলে পুরকর্মীরা কথা না বাড়িয়ে সেখান থেকে চলে যান। পুরকর্মীদের এমন অভিযান নিয়ে তাই প্রশ্ন উঠেছে।

Advertisement

পরিবেশ বিভাগের মেয়র পারিষদ মুকুল সেনগুপ্ত এ নিয়ে বলেন, ‘‘কিছু ব্যবসাযী কথা শুনতে চাইছেন না ঠিকই। তবে অভিযান লাগাতার চলবে।’’ কর্মীদের একাংশের দাবি, তাঁরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। অভিযানের সময় ব্যবসায়ীদের একাংশ নানা কথা বলে হইচই করছেন। কর্মীদের অনুরোধ করা ছাড়া কিছু করার থাকছে না। মুকুলবাবু জানান, অভিযানের জন্য তারা চারদিনের জন্য পুলিশ চেয়েছিলেন। কিন্তু মেলেনি। পুলিশের তরফে সহযোগিতা মিলছে না। প্রশাসনের তরফে সাহায্য না মেলায় কাজ করতে গিয়ে সমস্যা হচ্ছে। তবে সমস্যা নিয়ে সমস্ত কাউন্সিলরদের সঙ্গে কথা বলবেন। তাঁদের সাহায্য চাওয়া হবে।

৩ নম্বর বরো কমিটির চেয়ারম্যান সুজয় ঘটক অবশ্য দাবি করেন, সদিচ্ছা না থাকায় পরিকল্পনাহীন ভাবে অভিযান হচ্ছে। গত কয়েকদিনে ৪৬ জন ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে এবং ৪৫ জন খদ্দেরকে জরিমানা করা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘প্লাস্টিক লবির কথা শুনে অভিযান হলে পরিকল্পনাহীন হয়েই চলবে। বরো থেকে অভিযান করার জন্য লোক চেয়েছি। আমরা চাই বরো থেকে অভিযান শুরু হোক।’’

Advertisement

এ দিন সব্জিবাজারে অভিযানের সময় লাগোয়া মাছ, মাংসের বাজারে অনেকে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগে জিনিস দিচ্ছিলেন। তা জেনে একটি মাংসের দোকানে যান পুরকর্মীরা। সেখানে ব্যবসায়ীরা জানতে চান কেন তারা যে সব দোকান থেকে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ সরবরাহ হচ্ছে সেখানে গিয়ে ধরপাকড় করছেন না। ব্যবসায়ীরা সরব হলে এর পর মাছ, মাংসের বাজার ছেড়ে অন্য দিকে চলে যান পুরকর্মীরা। বিরোধী দলনেতা নান্টু পালের কটাক্ষ, ‘‘বর্তমান পুর কর্তৃপক্ষ প্লাস্টিক বন্ধ করতে না পারলে চেয়ার ছেড়ে দিক। আমরা করে দেখিয়ে দেব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন