ভাঙচুর: শিলিগুড়ির সেই বাড়িতে। নিজস্ব চিত্র
ফেসবুক পোস্টের জেরে হামলার মুখে পড়া পরিবারগুলির আতঙ্ক কাটেনি এখনও। কোচবিহারের ওই দুই পরিবারের সদস্যদের অনেকেই এখনও বাড়ির বাইরে বেরোতে সাহস পাচ্ছেন না। মঙ্গলবার অবশ্য পরিস্থিতি আগের তুলনায় অনেকটাই স্বাভাবিক ছিল। নতুন করে কোথাও গন্ডগোলের ঘটনা ঘটেনি।
পরিস্থিতি সামলাতে কড়া হচ্ছে পুলিশও। সোমবারই হিংসা রুখতে কড়া হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, এই পরিস্থিতিতে নতুন করে যাতে কোথাও উত্তেজনা না ছড়ায় সেদিকে কড়া নজরদারি শুরু করেছে পুলিশ। সোশ্যাল নেটওয়ার্কে নজরদারির জন্য একটি দলও গঠন করেছে পুলিশ। ওই দলের সদস্যরা কারা কারা সোশ্যাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করছে তাদের নাম নথিবদ্ধ করছে। পুলিশ সূত্রের খবর, এখনও অবধি পাঁচজনের নাম নথিবদ্ধ করেছে পুলিশ। কোচবিহারের পুলিশ সুপার অভিষেক গুপ্ত বলেন, “যারা আইন ভেঙে কিছু করবেন তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
কাশ্মীরের সেনা কনভয়ে জঙ্গি হানার ঘটনার পর থেকে গোটা দেশের সঙ্গে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কোচবিহার। প্রচুর মানুষ পথে নেমে ওই ঘটনার প্রতিবাদ জানান। এই অবস্থায় ফেসবুকে কয়েকজনের মতামতে দেশের বিরোধিতা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে তাদের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে একাধিক যুবকের বিরুদ্ধে। আক্রান্তর মধ্যে দু’জনের বাড়ি খাগরাবাড়ি এলাকায়। রবিবার তাঁদের বাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠে।