Jalpaiguri

চা খেতে বার হলেও চালান

পুলিশ সূত্রের খবর, নবান্নের কথায় কড়াকড়ি কিছুটা কমিয়ে মানবিক ভাবে ঘরে থাকতে আবেদন করা হয়। তাতে তেমন ফল মেলেনি বলে দাবি। উল্টে প্রতিদিনই রাস্তায় জটলা বাড়ছিল।

Advertisement

অনির্বাণ রায়

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২০ ০৫:০৭
Share:

পাহারা: বেড়েছে টহল। রয়েছে লাইন-ও। কোচবিহারে। নিজস্ব চিত্র

লকডাউন ভেঙে রাস্তায় কেন? পুলিশের এই প্রশ্নে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োর ঢঙে উত্তর এসেছিল ‘চা খেতে এসেছি’। তারপরেই সোজা চালান হতে হল থানায়। জলপাইগুড়ি শহরের ঘটনা। শুক্রবার শহর থেকে ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সকলেই অকারণে রাস্তায় বেরিয়েছিল বলে দাবি পুলিশের। সকাল বেলায় থানায় নিয়ে গিয়ে বসিয়ে রাখা হয় সন্ধ্যে পর্যন্ত। সন্ধ্যের পরে সকলকে ব্যক্তিগত জামিনে ছাড়া হয়েছে। সরকারি নির্দেশ অমান্য করার মামলা রুজু হয়েছে।
লকডাউন শুরুর পরে রাস্তায় বের হওয়া রুখতে কড়াকড়ি করেছিল পুলিশ। তারপরে অভিযানে কিছুটা ঢিলে পড়ে বলে। পুলিশ সূত্রের খবর, নবান্নের কথায় কড়াকড়ি কিছুটা কমিয়ে মানবিক ভাবে ঘরে থাকতে আবেদন করা হয়। তাতে তেমন ফল মেলেনি বলে দাবি। উল্টে প্রতিদিনই রাস্তায় জটলা বাড়ছিল।

Advertisement

শুক্রবার জেলা জুড়ে অভিযান চালায় পুলিশ। জলপাইগুড়ির জেলা পুলিশ সুপার অভিষেক মোদী বলেন, “জেলা জুড়ে অন্তত ৪৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযান চলবে।”এ দিন দিনবাজারের একটি জটলা থেকে উত্তর দেওয়া হয়, “চা খেতে এসেছি।” মার্চেন্ট রোডে বছর পঁয়ত্রিশের এক ব্যক্তিকে রাস্তায় হাঁটতে দেখে পুলিশকর্মীরা প্রশ্ন করেন, তিনি কেন বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন। উত্তরে ওই ব্যক্তি বলেন, “একটু তো বের হতেই হবে। বাড়িতে থাকতে ভাল লাগছে না।” উত্তর শুনে পুলিশ অফিসার ওই ব্যক্তিকে বলেন, “চলুন, তবে থানায় থাকবেন!”

শুক্রবার সকাল দশটা থেকে অভিযান শুরু করেছিল পুলিশ। সাদা পোশাকের পুলিশ কর্মীরাও ছিলেন। যেখানেই জটলা দেখেছে পুলিশ জেরা করেছে। পথচলতিদের থামিয়েও জেরা করেছে পুলিশ। বাজারে গিয়েছি, ওষুধ কিনতে যাচ্ছি এমন উত্তর দিলে প্রমাণ চেয়েছে পুলিশ। যাঁদের লকডাউন ভেঙে বেরনোর যুক্তিগ্রাহ্য কারণ ছিল না তাঁদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। শুক্রবার সকাল থেকে রাস্তায় বহু বাসিন্দাকে দেখা গিয়েছে। মুদি দোকানের সামনে জটলা করে আড্ডা চলেছে। শহরের কিছু চায়ের দোকানও খোলা ছিল, সেই দোকানের সামনেও দাঁড়িয়ে-বসে আড্ডা চলতে দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন